সব জল্পনায় জল ঢেলে আইসিসির বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়েই ছাড়লেন এন শ্রীনিবাসন। তবে বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যাওয়া শ্রীনি সশরীরে নয়, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন। “আইসিসি-র এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কমিটির বৈঠকে শ্রীনিবাসন বেশ সক্রিয়ই ছিলেন। ফিনান্স কমিটির সদস্যের পদাধিকারবলেই বৈঠকে যোগ দেন তিনি,” জানান ভারতীয় বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ কর্তা।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদ থেকে যে তিনি সরছেন না, গড়াপেটার তদন্ত কমিটির রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন, শ্রীনিবাসনের এ ভাবে বৈঠকে যোগ দেওয়া তার স্পষ্ট ইঙ্গিত। স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে তীব্র চাপের মুখে বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার পর আইসিসি-র বার্ষিক বৈঠকে শ্রীনি যোগ দেবেন কিনা, এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ছিল। ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর আইসিসি-র বার্ষিক সন্মেলনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছিল বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার পরও কেন শ্রীনি আইসিসি-র বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন? সমস্যার সমাধানে শেষ পর্যন্ত বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরুণ জেটলির রফাসূত্রই মানা হল। তবে কিছুটা ঘুরিয়ে।
পাশাপাশি আইসিসি-র বার্ষিক সম্মেলনে এ দিন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঠিক হয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বদলে বহু প্রতীক্ষিত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপ শুরু হবে। উদ্বোধনী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৭-র জুন বা জুলাইয়ে। আয়োজক ইংল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২১ দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আর ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হবে ভারতে। একই সঙ্গে ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাটের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার আইসিসি-র স্ট্র্যাটেজির সমর্থন করেছে সব সদস্য দেশই। বিশেষ করে টেস্টকে বাঁচানোর পরিকল্পনা। ঠিক হয়েছে আইসিসির টেস্ট খেলিয়ে সদস্যদের চার বছর অন্তত ১৬টি টেস্ট খেলতে হবে। ওয়ান ও টি টোয়েন্টির নতুন নিয়মে এ বার থেকে বল বিকৃতির শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলকে অতিরিক্ত পাঁচ রান দেওয়া হবে। দুর্নীতিদমন নিয়েও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে বার্ষিক সম্মেলনে। ঠিক হয়েছে, ক্রিকেটে দুর্নীতি রুখতে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নির্দিষ্ট কয়েকটি নীতি কঠোর ভাবে মেনে চলা হবে। আরও বাড়ানো হবে দুর্নীতি সম্পর্কিত তথ্যের আদান প্রদান। |