স্পনসরের অভাবে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব সাদার্ন সমিতি দলই তুলে দিল। ক্লাবের পক্ষ থেকে শনিবার রাতে মেল করে সে কথা জানিয়েও দেওয়া হল ফেডারেশন, আইএফএ এবং সংবাদমাধ্যমকে।
শুধু সাদার্ন-ই নয়, স্পনসর না পাওয়ায় ময়দানের অনেক দলই তীব্র সমস্যায়। আই লিগের চার নম্বর ক্লাব ইউনাইটেড স্পোর্টস, প্রিমিয়ারের ক্লাব জানবাজার-সহ অনেক ক্লাবই রয়েছে তালিকায়। সাদার্নের মতো এদের বেশিরভাগেরই স্পনসর ছিল চিটফান্ড।
সুব্রত ভট্টাচার্যের কোচিংয়ে গত বছর আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিসনে খেলেছিল সাদার্ন। প্রিমিয়ারেও তাদের পারফরম্যান্স ছিল চমকপ্রদ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের দল তুলে নিতে হচ্ছে। ক্লাব সচিব মন্টু সাহা জানিয়েছেন, “গত মরসুমে টিম গড়ার জন্য যারা টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই কথা রাখেনি। তাই অনেক ফুটবলারের পুরো বেতন দিতেও পারেনি। এর জন্য আমরা লজ্জিত। ক্ষমাপ্রার্থী।”
গত বছর সাদার্নকে স্পনসর করেছিল যে চিটফান্ড তারা পুরো টাকা দেয়নি। স্পনসর আনার ব্যাপারে মুখ্যভূমিকা নিয়েছিলেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। ময়দানের খবর, প্রেসিডেন্ট হলেও এ বার না কি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মদনবাবু সেভাবে দল গড়তে উদ্যোগ নিচ্ছেন না। সেজন্যই না কি এই দল তুলে নেওয়ার চিঠি। প্রিমিয়ারের এরকম একটা নামী দল স্পনসরের অভাবে উঠে যাচ্ছে শুনে বিব্রত আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, “খারাপ খবর। টাকা-পয়সা নিয়ে ময়দানে সমস্যা চলছে। আশা করব ওরা সমস্যা কাটিয়ে উঠবে।” প্রায় দশ বছর আগে ভ্রাতৃ সংঘ দল তুলে নিয়েছিল। |