আইসিসি-র মহাবৈঠকে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব কি জগমোহন ডালমিয়াই করছেন? না কি অন্য কেউ?
রবিবার এই প্রশ্নকে ঘিরে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়ে গেল বোর্ডমহলে।
আগামী ২৩ জুন লন্ডনে আইসিসি-র মহাবৈঠক। ডিআরএস পদ্ধতি নিয়ে ভারতের ‘স্টান্স’ কী হবে জাতীয় কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ সেই বৈঠকে ওঠার কথা। এত দিন বোর্ড প্রেসিডেন্টকেই দেখা যেত আইসিসি-র বৈঠকে যেতে। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। বৈঠকের সাত দিন আগেও ঠিক করা যাচ্ছে না, বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব সেখানে কে করবেন। কারণ নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। যিনি বোর্ড থেকে অপসারিত হয়েও প্রবল ভাবে চাইছেন আইসিসি-র সভায় বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে!
জানা গেল, আগামী বছর আইসিসি-তে নতুন একটা পদ সংযোজন হতে চলেছে। প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি চেয়ারম্যান পদ, যেখানে ঢুকে পড়তে চাইছেন শ্রীনি। উল্টো দিকে বোর্ডের অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া আবার ঘনিষ্ঠদের নাকি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিজে থেকে আইসিসি-র বৈঠকে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলতে চান না। তিনি নিজে যাবেন, না অন্য কেউ সেটা ঠিক করুক ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা। ডালমিয়া কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, আইসিসি-র বৈঠকে তিনি যদি না যান, তা হলে কে যাবে সেটা ঠিক করবেন ডালমিয়াই। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডালমিয়া কাউকে বাছাবাছির রাস্তাতেও যাচ্ছেন না। ঘনিষ্ঠদের কাছে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের কঠিন সময়ে তাঁকে আবার হাল ধরতে হয়েছে। আর অতীতে আইসিসি-র প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। এ সব বৈঠক তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। তিনি নিজে যেতে চাইলে, অনেকে নানা রকম প্রশ্ন তুলতে পারেন। যা তিনি চান না। অতএববোর্ড সদস্যদের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়া সব দিক থেকে ভাল।
এই প্রসঙ্গে রবিবার রাতে ডালমিয়াকে ফোন করা হলে তিনি বললেন, “আমি এখনও কিছু ঠিক করিনি। দেখি আর কয়েকটা দিন।” কিন্তু ব্যাপারটা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের হাতেই ছাড়া হচ্ছে? এ বার অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্টের উত্তর, “সব কাগজপত্র এখনও হাতে পাইনি। কাল থেকে ব্যাপারটা নিয়ে বসব।”
ঘটনা হচ্ছে, বোর্ডের অধিকাংশই চাইছেন, আইসিসি-র বৈঠকে ডালমিয়াকে পাঠাতে। বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর যেমন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ডালমিয়া ছাড়া যাওয়ার মতো আর কেউ নেই। শ্রীনিবাসনের বিপক্ষে দু’টো যুক্তি যাচ্ছে। এক, তিনি আইসিসি-র বৈঠকে যাওয়া মানে ফের স্পট-ফিক্সিং বিতর্কের গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পড়া। যেটা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। আর দুই, শ্রীনিবাসন এই মুহূর্তে বোর্ড থেকে অপসারিত। এই অবস্থায় তাঁকেই যদি আইসিসি-র বৈঠকে দেখা যায়, তা হলে ভারতীয় বোর্ডেরই মুখ পুড়বে। যা জানা গেল, এই ব্যাপারে আগামী ১৮ বা ২০ জুনের মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাচ্ছে। |