ওয়ার্নার-গেট, বল বিকৃতি বিতর্ক তো ছিলই রবিবাসরীয় কার্ডিফে ইংল্যান্ডের আরও একটা বাধা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল অ্যালেস্টার কুকদের সামনে। বৃষ্টি। হারলেই ছিটকে যেতে হবে। এই অবস্থায় ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেলে মাঠে না নেমেই ইংল্যান্ড টুর্নামেন্টের বাইরে চলে যেত। বৃষ্টির ভ্রুকুটি যে ভাবে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছিল তাতে সেই আশঙ্কাও এক সময় বড় হয়ে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু কুকদের ভাগ্য ভাল ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার থেকে কমে ২৪ ওভারে গিয়ে ঠেকে। তাতেই প্রথমে ব্যাট করে ১৬৯ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিউয়িদের ইনিংস শেষ পর্যন্ত থেমে যায় ১৫৯-৮। ১০ রানে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলে ইংল্যান্ড।
অ্যালেস্টার কুক ক্রিকেটের একটা ফরম্যাটেই ইংল্যান্ডের হয়ে সে ভাবে মাঠে নামেননি। টি-২০ ফরম্যাটে। তা বলে তিনি যে এই ফরম্যাটে একেবারেই আনাড়ি নন সেটাও বুঝিয়ে দিলেন কিউয়িদের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচেই। বৃষ্টির জন্য প্রায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই দাঁড়ানো ম্যাচে দলকে সেমিফাইনালে তোলার মরিয়া লড়াই এল তাঁর ব্যাট থেকেই। অবশ্য কিউয়িদের তিন বার জীবন দান দেওয়ার কথা বাদ দিলে কুকের ৪৭ বলে ৬৪ রান এল বেশ দাপটেই। আর জো রুট। ডেভিড ওয়ার্নারের বাঁ হাতের ঘুষি খাওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। অনেকে তাঁকে বাচ্চা ছেলে বলে ঠাট্টা-ইয়ার্কিও করেছেন। কিন্তু ম্যাকক্লেনাঘান, কাইল মিলস, কোরে অ্যান্ডারসনের মতো পেসারদের যে ভাবে সামলে ব্যাটিং করলেন (৪০ বলে ৩৮) তাতে আর যাই হোক ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর পরিণতি নিয়ে মনে হয় না আর কেউ সমালোচনা করার সাহস দেখাবে। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যানই। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের আর কেউই টিকে থাকতে পারলেন না কিউয়ি বোলারদের দাপটে। বিশেষ করে কাইল মিলস (৪-৩০)। মিলসের দাপটে পুরো ২৪ ওভার ব্যাট করতেই পারল না ইংল্যান্ড। ২৩.৩ ওভারেই ১৬৯ রানে ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লুক রনচি (২) আর মার্টিন গুপ্তিলের (৯) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটে (৬৭) ম্যাচে ফেরে কিউয়িরা। কিন্তু স্টুয়ার্ট ব্রড তাকে ফেরাতেই নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ধস নেমে যায়। |