বল বিকৃতি বিতর্ক যেন শেষ হতেই চাইছে না। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার বব উইলিসের পর এই নিয়ে বোমা ফাটালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার আমির সোহেল।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারের হ্যাটট্রিকের পর বাইরে-ভিতরে সমালোচনায় জেরবার পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে একটি চ্যানেলে আলোচনায় বসেছিলেন পাকিস্তানের তিন প্রাক্তন ক্রিকেটার। সেখানেই বিশ্বকাপ জয়ী পাক দলের অন্যতম সদস্য সোহেল বলেন, “পরিষ্কার একটা কথা বলতে চাই। আমাদের এই সত্যিটার মুখোমুখি হতেই হবে। পাকিস্তান ক্রিকেটের এই দুরবস্থার জন্য দায়ী ইমরান খান।” বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের বিরুদ্ধে সোহেলের এ রকম মন্তব্য শুনে তাজ্জব হয়ে যান ওই অনুষ্ঠানে থাকা আরও দুই প্রাক্তন পাকিস্তান ক্রিকেটার জাহির আব্বাস এবং ইউনিস খান। কিন্তু সোহেল থামেননি। বলে যান, “ইমরানই আমাদের বোলারদের বল বিকৃত করতে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে। এই অভ্যাসের জন্য আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি ধাক্কা খেয়েছে। যার জেরে এখন আমরা খুব ভাল নতুন বলের বোলার তৈরি করতে পারছি না। এমনকী নতুন বলটা ভাল করে খেলাও শিখছে না আমাদের ওপেনাররা।”
সোহেলের মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে। প্রায় সবার আক্রমণের লক্ষ্যই ছিলেন সোহেল। কারও কারও প্রশ্ন, আক্রম-ওয়াকারদের না হয় বাদই দেওয়া গেল, কিন্তু তার পরেও তো অনেক ভাল ফাস্ট বোলার এসেছে পাকিস্তানে। তা হলে কেন সোহেলের এই অভিযোগ? অনেকে আবার মনে করছেন, আমির সোহেলের এই বিবৃতির পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধিও আছে। |
এ দিকে আবার হারের ধাক্কায় বিধ্বস্ত পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অনেকেই দেশে ফিরতে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। পাক বোর্ডের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আব্দুল রহমান, কামরান আকমল, ওয়াহাব রিয়াজ, আসাদ শফিক আর মহম্মদ ইরফানই শুধু রবিবার রাতে লন্ডন থেকে সরাসরি পাকিস্তানে উড়ে আসছেন। টিমের বাকি ক্রিকেটাররা পরে দেশে ফিরবেন। কোচ ডাভ হোয়াটমোর এবং বাকি কোচিং স্টাফও এখন পাকিস্তানে ফিরছেন না। পাক প্লেয়ারদের মধ্যে কয়েক জন লিগ ক্রিকেট খেলার নামে ইংল্যান্ডেই কাটাতে চান। বাকিরা পরে ছোট ছোট দলে আগেভাগে কিছু না জানিয়ে দেশে ফিরবেন। যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে না হয়।
এর আগে যখনই পাকিস্তান এ ভাবে কোনও সিরিজে ব্যর্থ হয়েছে পাক মিডিয়া আর সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে প্লেয়ারদের উপরও। এ বার সেই চেনা আতঙ্কে রয়েছেন শুধু পাক প্লেয়াররাই নন, ম্যানেজমেন্ট স্টাফেরও অনেকেই। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বতর্মান দল থেকে বাদ যেতে পারেন কামরান আকমল, ইমরান ফারহাত, শোয়েব মালিকরা। কোপ পড়তে পারে কোচ ডাভ হোয়াটমোরের উপরও।
এই সময়ে হাল ধরতে প্রেসিডেন্ট জাকা আসরফকেও পাচ্ছে না পাকিস্তান বোর্ড। মে-তে তাঁর নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের পর আদালতের নির্দেশে তিনি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে নির্বাসিত।
|