বিপর্যয়ে মৃত দশ হাজার, দাবি উত্তরাখণ্ডের স্পিকারের
ত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। আজ এ কথা জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার গোবিন্দ সিংহ কুঞ্জল।
তবে কুঞ্জলের বক্তব্য মানতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা। তাঁর মতে, স্পিকার ভুল তথ্য পেয়েছেন। রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১ হাজার। তবে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, এখনও ৩ হাজার মানুষ নিখোঁজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের মতে, মৃতের সংখ্যা মাত্র ৯০০। কুঞ্জলের বক্তব্য, “আগে যখন গঢ়বালে গিয়েছিলাম তখন মনে হয়েছিল ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। কিন্তু, এখন যা তথ্য পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে মারা গিয়েছেন ১০ হাজার।”
খারাপ আবহাওয়ার ফলে আজ কেদারনাথ, বদ্রীনাথ ও অন্যান্য এলাকায় ত্রাণকার্য কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তা সত্ত্বেও বদ্রীনাথ থেকে ১ হাজারের বেশি পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি ও উত্তরকাশীর প্রায় ৬০০টি গ্রাম এখনও বিচ্ছিন্ন। সেখানে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। কিন্তু, আকাশপথে ছাড়া সেখানে এখন খাদ্য সরবরাহ সম্ভব নয়। ফলে, সেখানেও বাদ সাধছে খারাপ আবহাওয়া।
সেই সঙ্গে ভাগীরথীর জলসীমা বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো চিন্তিত প্রশাসনের কর্তারা। ইতিমধ্যেই নদীর তীর থেকে গোটা রাজ্যে ২০০ পরিবারকে সরানো হয়েছে। তবে ভাগীরথী থেকে বন্যা হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দফতরের অধিকর্তা আনন্দ শর্মার মতে, সূর্যের তাপে পাহাড়ের উপরের তুষার গলছে। তাই বাড়ছে নদীর জল। আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। আগামী কয়েক দিনে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা তাঁর।
উত্তরাখণ্ডে ত্রাণ অভিযান একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তাই ওই অভিযান থেকে ধীরে ধীরে কপ্টার সরিয়ে নিয়ে শুরু করেছে বায়ুসেনা। তবে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য ধারাসু ও গোচরে কিছু কপ্টার রেখে দেওয়া হবে।
উত্তরাখণ্ডে ত্রাণকার্যের জন্য মোট ৮৭টি কপ্টার নিয়োগ করেছিল সেনা ও বায়ুসেনা। গত ২৪ ঘণ্টায় তারা মোট ৮৪ বার উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ড ঘুরে গিয়েছেন সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, যত দিন প্রয়োজন তত দিনই সেনারা রাজ্যে থাকবেন।
কেদারনাথ মন্দিরের ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ-র (এএসআই) সাহায্য চেয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। তাই দিল্লি ও দেহরাদূন থেকে পাঁচ বিশেষজ্ঞের একটি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএসআই। কপ্টারেই তাঁদের কেদারে পৌঁছে দেওয়া হবে। কী ভাবে মন্দিরের মেরামতির কাজ শুরু করা যায় তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণাকে একটি রিপোর্ট দেবেন ওই বিশেষজ্ঞরা।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.