|
|
|
|
মোদীর সঙ্গে মায়াবতীও বিহারে অস্ত্র বিজেপির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নীতীশ কুমার সঙ্গ ছাড়ার পরে বিহার নিয়ে নিজেদের কৌশল বদলাচ্ছে বিজেপি। সেখানে নরেন্দ্র মোদীকে যেমন পিছিয়ে পড়া শ্রেণির নেতা হিসাবে তুলে ধরা হবে, তেমনই নীতীশের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে মায়াবতীরও দ্বারস্থ হওয়ার কৌশল নিয়েছে তারা।
বিহারে জোট ভেঙে দেওয়ার পর থেকে নীতীশ যে ভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন, সে দিকে নজর রাখছেন বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতৃত্ব লালুপ্রসাদ ও রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে পরোক্ষ সমঝোতার প্রস্তাবও দিয়েছেন নীতীশকে। সে ক্ষেত্রে মুসলমান, উচ্চবর্ণের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভোটও এক ছাতার তলায় আসবে। বিজেপি নেতারা জানেন, উচ্চবর্ণের পাশাপাশি যদি নীতীশের পিছিয়ে পড়া ভোটব্যাঙ্কেও থাবা বসানো যায়, তা হলে বিহারে আসন বাড়ানো সম্ভব হবে। তাই মোদীকে অনগ্রসর শ্রেণির নেতা হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি মায়াবতীর সঙ্গেও হাত মেলাতে চাইছেন তাঁরা।
বিহার বিজেপির এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, “গোটা দেশে মোদীকে উন্নয়নের কাণ্ডারী হিসাবে তুলে ধরা হলেও বিহারের ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্য। সেখানে মোদীর পরিচয় তিনি অনগ্রসর শ্রেণির নেতা। ছোটবেলায় বাবার দোকানে চা বানিয়ে বড় হয়েছেন।” সেই সঙ্গেই তাঁর যুক্তি, “বিহারে যাবতীয় রাজনৈতিক চর্চা হয় চায়ের দোকানেই। সেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ রাজনীতির আলোচনা করেন। গরিব মুসলমানরাও তার শরিক। ফলে দেশের অন্য প্রান্তে কৌশল যা-ই হোক, বিহারের ক্ষেত্রে দলের রণনীতি ভিন্ন।”
মায়াবতীর দলের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করতে চাইছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে সমীকরণ যা-ই হোক, সাম্প্রতিক অতীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মায়াবতীর সঙ্গে সমঝোতা করেছে বিজেপি। দিল্লি পুরসভার নির্বাচনেও মায়াবতীর সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। এ বারে বিহারের জন্যও মায়াবতীর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। অক্টোবর মাসে পটনায় ‘হুঙ্কার র্যালি’তে যোগ দেবেন মোদী। তার আগে বিহারের জমি তৈরি করে রাখতে চাইছে বিজেপি।
এই সব কৌশলের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের মধ্যেও নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন মোদী। সম্প্রতি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম, সাচার কমিটির ওএসডি জাফর মেহমুদকে গুজরাতে মোদীর এক সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মোদী শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেস সিবিআইয়ের মাধ্যমে ইশরাত জাহান মামলায় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে বিপাকে ফেলতে মরিয়া। এই বিষয়টি নিয়ে মেরুকরণের চেষ্টা করে দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে তারা।
বিজেপির বক্তব্য, কংগ্রেস মেরুকরণের জন্য বেশি মরিয়া হলে আখেরে লাভ হবে বিজেপিরই। |
|
|
|
|
|