লোকসভা ভোটে গোবলয়ের সব চেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে গাঁধী পরিবারকে টক্কর দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।
এখন উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী ও অমেঠীর সাংসদ সনিয়া ও রাহুল গাঁধী। পাশের কেন্দ্র সুলতানপুরে ইতিমধ্যেই গাঁধী পরিবারের আর এক সদস্য বরুণকে প্রার্থী করার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বিজেপি। রায়বরেলী ও অমেঠীতেও সনিয়া ও রাহুলের বিরুদ্ধে ওজনদার প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে তারা। সনিয়ার কেন্দ্রে তাঁর ঘোর বিরোধী সুব্রহ্মণ্যম স্বামী কিংবা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানিকে প্রার্থী করা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে। তবে সনিয়ার বদলে প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হলে কী কৌশল হবে, তা এখনও স্থির করতে পারেনি বিজেপি। আর রাহুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন গাঁধী পরিবারের একদা ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংহ। এক সময়ে বিজেপি-তে এসেছিলেন সঞ্জয়। ফের কংগ্রেসে ফিরে এখন তিনি সুলতানপুরের সাংসদ। সঞ্জয়কে বিজেপি-তে ফিরিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে।
বিজেপি সূত্রের মতে, নরেন্দ্র মোদীকে সামনে তুলে ধরলেও সব রাজ্য থেকে যে প্রচুর ভোট বিজেপি-র ঝুলিতে যাবে, এমন নয়। রাজস্থান, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশের মতো কিছু রাজ্য থেকে কিছু আসন বাড়বে। গুজরাত, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্য থেকে খুব বেশি আসন বাড়ানোর সুযোগ নেই। পূর্ব ও দক্ষিণের পরিস্থিতিরও খুব বেশি বদল হয়নি। উল্টে দক্ষিণে কর্নাটকে আসন আরও কমবে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারই এখন বিজেপি-র পাখির চোখ। তাই মোদী এই দুটি রাজ্যে সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন। কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের স্লোগানের পাশাপাশি গাঁধী পরিবারের সদস্যদেরও হারানোর চেষ্টা হবে।
মোদী শিবিরের এক নেতা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মোদীকে কোণঠাসা করার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। ইশরাত জহান মামলায় মোদী-ঘনিষ্ঠ অমিত শাহকে জড়ানোর চেষ্টা করছে সিবিআই। এই অবস্থায় কংগ্রেসকেও রাজনৈতিক ভাবে যতটা সম্ভব পাল্টা চাপের মধ্যে রাখতে চাইছেন মোদী।
তাই সঙ্ঘ নেতৃত্ব ও সভাপতি রাজনাথ সিংহের সঙ্গে আলোচনা করে অমিত শাহকেই উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন মোদী। অমিত ইতিমধ্যেই সেখানে জমি তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন। খোদ মোদীও উত্তরপ্রদেশের কোনও কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেন কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছেন শাহ। পাশাপাশি গাঁধী পরিবারের গড় বলে পরিচিত অমেঠী- রারবরেলীতেও তাঁদের বেগ দিতে চাইছেন মোদী। |