রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে নিকাশি পরিকাঠামোর উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে নতুন করে টেন্ডার করার পক্ষে মত দিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায়। ওই কাজটি করছিল এক অস্ট্রিয়ান সংস্থা অ্যাঙ্গারলেহনার। এর ফলে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে মাটির নিচে জিআরপি লাইনার বসানোর কাজ মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায়।
পরে পুরসভার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার নীলাংশু বসু কাজটি শেষ করার জন্য অন্য এক বিদেশি সংস্থাকে বরাত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রিপোট দেয় পুরসভার অর্থ ও আইন বিভাগ। ওই দুই দফতর জানিয়ে দেয় টেন্ডার না করে ওই কাজ করানো পুরআইন বিরুদ্ধ। তাতেও কোনও কর্ণপাত করেননি চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পিডি)। দুই দফতরের টালবাহনায় তিন মাস কেটে যায়। পুরসভার এক পদস্থ অফিসারের কথায়, এর ফলে বর্ষার আগে দক্ষিণ কলকাতায় নিকাশি পরিকাঠামোর কাজ থমকে যায়।
শেষমেষ পুরসভার মেয়র পরিষদ বৈঠকে বিষয়টি ওঠে। সেখানে চিফ ইঞ্জিনিয়ার নীলাংশুবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পুরসভার দুই মেয়র পারিষদ। অভিযোগ, ওই অফিসার (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) পুর প্রশাসনকে সময় মত তথ্য দেননি। অনেক কিছু গোপন করেছেন। সময় মত টেন্ডার করেননি। দেরি হওয়ায় হওয়ায় ওই কাজ শেষ করতে পুরসভাকে বাড়তি কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, বিষয়টি নিয়ে এজি’র মত নেওয়া হবে।
এ দিন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর মতামত লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমলবাবু। নতুন টেন্ডার করার পাশাপাশি দেউলিয়া হওয়ার পরও ওই সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানোর বিষয়টি সন্দেহজনক বলে জানিয়েছেন। নতুন করে টেন্ডার করে ওই কাজ শেষ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এজি’র চিঠি পেয়ে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখন ওই কাজের জন্য ফের টেন্ডার ডাকা হবে।”
এ দিকে যাঁর কারণে টেন্ডারের কাজ পিছোল তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন একাধিক মেয়র পারিষদ। যদিও মেয়র শোভনবাবু বলেন, “সে রকম কোনও দাবি আমার কাছে আসেনি।”
|