কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহের নির্দেশে তারই শাগরেদরা মঙ্গলবার রাতে গাজলে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। বোমায় এক রিক্শাচালকের মৃত্যুর পরে পুলিশ বাড়তি নজরদারিতে নেমেছে। বিস্ফোরণস্থল ও বাসিন্দাদের কাছ থেকে হামলাকারীদের বিবরণ জানার পরে পুলিশের সন্দেহ জোরদার হয়েছে। কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহ ও তার শাগরেদদের ধরতে গাজল, বামনগোলা, হবিবপুরে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে দিয়েছে। পুলিশের অনুমান, বামনগোলা ও হবিবপুর তল্লাশি শুরু হতে দৃষ্টি ঘোরাতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না। ২-১ দিনে বিস্ফোরণের কিনারা হয়ে যাবে।” ২০১২ সালে জামিনে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দেওয়ার পরে ২০১৩ সালে মালখান সিংহ মালদহের বামনগোলায় ফেরেন। কিছু দিন চুপচাপ থাকার পর মালখান ফের ব্যবসায়ী , শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে তোলা আদায় শুরু করেন বলে অভিযোগ। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের পক্ষ থেকে মালখান সিংহের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে তোলাবাজির অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ মালখান সিংহকে ধরতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৬ জুন হবিবপুরের জাজইলে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী নৃপেন মন্ডল খুনের পিছনেও মালখান সিংহের হাত রয়েছে। সেই তথ্য মোবাইল সূত্র ধরে জানার পরে পুলিশ মালখান সিংহের ঘনিষ্ঠ কেপিপির (প্রোগ্রেসিভ) জেলা সভাপতি সুকুমার রায়কে নৃপেন মন্ডল খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।
|
চালককে গুলি করে উধাও ট্রাকটি নিয়ে |
চালককে গুলি করে চলন্ত ট্রাক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চারজন দুস্কৃতী ট্রাক নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। বুধবার রাত ১১টায় গাজল থানার শ্যামনগরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “চালককে গুলি করে চলন্ত ট্রাক থেকে ফেলে দুস্কৃতীরা ট্রাক নিয়ে শিলিগুড়ির দিকে পালিয়েছে।” কলকাতা থেকে নতুন ট্রাক নিয়ে তপশিয়ার মহম্মদ জামিরুদ্দিন শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ মালদহ রথবাড়ি মোড়ে চার যুবক রায়গঞ্জ যাবে বলে ট্রাকে উঠেছিল। গাজল ছাড়ার পরই তারা চালকের মুখে গুলি করে। জখমকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
|
তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইসলামপুর। বৃহস্পতিবার রামগঞ্জ ১ পঞ্চায়েতের বেতবাড়ি এলাকাতে ঘটনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষে এলাকায় কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী সাফেরা বিবি-সহ দুই পক্ষের ৫ জন আহত হন। সাফেরা বিবি রামগঞ্জ ১ পঞ্চায়েতের বেতবাড়ি এলাকা থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বা হাতে আঘাত। তিনি রামগঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। বাকি জখমরা ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে এলাকাতে দুই পক্ষের প্রচারকে ঘিরে বিবাদ দেখা দেয়। এদিন সকালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “বচসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে কেউ এখনও অভিযোগ জানায়নি।” |