কখনও বোর্ড আছে! আবার কখনও বোর্ড নেই! পুরসভায় চেয়ারম্যানের ঘরের বাইরে নান্টু পালের নাম লেখা বোর্ডকে ঘিরে সকাল থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে পুর ভবনে। বৃহস্পতিবার সকালে পুর ভবনে চেয়ারম্যানের ঘরের বাইরে লাগান হয়। কার নির্দেশে এই বোর্ড লাগানো হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই বেলা আড়াইটে নাগাদ উধাও হয়ে যায় ওই বোর্ড। নান্টুবাবু বলেন, “কে বোর্ড লাগিয়েছে বা খুলেছে তা আমার জানা নেই। আজ আমার চিঠি জমা দিয়েছি।” অন্যদিকে এইদিন কলকাতা আদালতে মামলা দায়ের করেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘কী কারণে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে তার কোন ব্যাখ্যা নেই নির্দেশিকায়। কতদিনের জন্য এই স্থগিতাদেশ তা বলা নেই এই রায়ে। কবে শুনানি হবে তা নিয়েও কোন কিছু উল্লেখ নেই। তাই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমরা মামলা করেছি।” আগামী বুধবার এই মামলার প্রথম শুনানি রয়েছে। অন্য দিকে ২ জুলাইয়ের বাজেট বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে দেন গঙ্গোত্রীদেবী।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্থগিতাদেশের নির্দেশ হাতে নিয়ে বুধবার পুরসভায় যান ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নান্টু পাল। কিন্তু চিঠি এখনও পর্যন্ত হাতে পাননি বলে দাবি করেন মেয়র। চিঠি এসে পৌঁছয়নি পুর কমিশনারের কাছে। কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি না পৌঁছতেই কি ভাবে নান্টু বাবু ওই দিন চেয়ারম্যানের ঘরে এসে বসলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। তার পর বোর্ড লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সকাল থেকে বোর্ড লাগান থাকলেও ঘটনাচক্রে কলকাতা আদালতে মেয়রের মামলা করার সঙ্গে সঙ্গেই বোর্ড খোলা হয়। পাশাপাশি, এ দিন আর চেয়ারম্যানের ঘরে যাননি নান্টুবাবু। পুরসভায় এসে নিচে তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘরেই বসেন তিনি। মামলার বিষয়টি নিয়ে নান্টু পাল বলেন, “উচ্চ আদালতে যা বলার আমার আইনজীবী বলবেন।” তবে পুরসভার এই টানা পোড়েনে উন্নয়নের কাজ কি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালীন সবিতা অগ্রবাল বাজেট মিটিং ডেকে ছিলেন। কিন্তু নান্টু পালের রায় আসতেই তা বাতিল করা হল। এই পরিস্থিতিতে ৩০ জুনের পর কিভাবে চলবে পুরসভা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, পরবর্তী পরিস্থিতিতে কি হবে তা জানতে চেয়ে ফের চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কি হবে রাজ্য সরকারের নির্দেশ, কী ভাবে চলবে পুরসভার কাজ তা নিয়ে জল্পনা চলছে পুরভবনে। বাজেট নিয়ে বির্তক থাকায় ৮ এপ্রিল রাজ্য সরকারের তরফে ১৬ টি কাজের নির্দেশিকা পাঠান হয়েছিল পুরসভায়। দৈনন্দিন কাজের সম্মতি দেওয়া হয়েছিল ওই নির্দেশিকায়। এই কারণে মার্চ এর পর থেকে কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারছে না পুরসভা।
|