ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিংহাসন সাময়িক হারানোর পর এ বার আর এক সমস্যায় পড়তে চলেছেন এন শ্রীনিবাসন। আইসিসি-র শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে। ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফিকা-র দাবি যদি সত্যি হয়, তা হলে শ্রীনিবাসনের আরও দুর্দিন আসছে বলা যায়।
ফিকার অভিযোগ, ভারতের প্রাক্তন স্পিনার লক্ষ্মণ শিবারামকৃষ্ণনকে আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটিতে আনার জন্য শ্রীনিবাসন একাধিক টেস্ট খেলিয়ে দেশের বোর্ডকে চাপ দিয়ে তাদের টেস্ট অধিনায়কদের দ্বিতীয়বার শিবার পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করেছেন। এর ফলে ফিকার প্রাক্তন প্রধান টিম মে-কে সরিয়ে শিবাকেই কমিটিতে নেওয়া হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান ভারতেরই আর এক প্রাক্তন স্পিনার ও অধিনায়ক অনিল কুম্বলে।
দ্বিতীয় বার যে ভোটাভুটি হয়েছে, তা আইসিসি আগেই মেনে নিয়েছে। কিন্তু চাপে পড়ে যে শিবারামকৃষ্ণনের পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য হয়েছেন বিভিন্ন দেশের টেস্ট অধিনায়করা, এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। |
“শ্রীনিবাসনের চাপেই যে দ্বিতীয়বার ভোট হয়েছে এবং টেস্ট ক্যাপ্টেনরা যে চাপে পড়েই তাঁদের ভোট বদলাতে বাধ্য হয়েছেন, তার অকাট্য সাক্ষ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।”
পল মার্শ, ফিকা চেয়ারম্যান |
|
এখন ফিকার দাবি, শ্রীনিবাসনের ‘কুকর্মের’ অকাট্য ও জোরদার প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে এবং সেই প্রমাণ তারা আইসিসি-র এথিকস্ অফিসারের হাতে তুলে দেবেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান পল মার্শ বলেছেন, “প্রথমে আইসিসি-র কাছেই আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যাতে বিষয়টা এথিকস্ অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু ছয় সপ্তাহ ধরে কোনও সাড়া না পাওয়ায় নিজেরাই বিষয়টি এথিকস্ অফিসারের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শ্রীনিবাসনের চাপেই যে দ্বিতীয়বার ভোট হয়েছে এবং টেস্ট ক্যাপ্টেনরা যে চাপে পড়েই তাঁদের ভোট বদলাতে বাধ্য হয়েছেন, তার অকাট্য সাক্ষ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আশা করি, এগুলো পাওয়ার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপযুক্ত ব্যবস্থা বলতে শ্রীনিবাসনকে সাসপেন্ড ও ভারতীয় বোর্ডকে জরিমানা। পরিস্থিতি সে দিকে গড়ালে আইসিসি-ভারতীয় বোর্ড সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এখন সেটাই দেখার।
|