ইংল্যান্ডের ঠান্ডা ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থেকে এ বার ক্যারিবিয়ান দ্বীপের শুকনো গরমে পৌঁছে বেশ স্বস্তি পেলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তবে রবিবার ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে নামার আগে এই আবহাওয়া বদলের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবেন কি না, পাশাপাশি সেই চিন্তাও রয়েছে ধোনিদের শিবিরে।
ইংল্যান্ড জয় সেরে ক্যারিবিয়ান দ্বীপে পৌঁছে যে সেখানেও ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধাবেন ধবন, রোহিত, কোহলিরা এমনই প্রত্যাশা সারা দেশ জুড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে ধোনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখেন, “একটু দেরি করে বিছানা ছেড়ে উঠব ভেবেছিলাম। কিন্তু সকাল সাতটাতেই ঘুম ভেঙে গেল। তবে তাতে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। সুন্দর, রোদ ঝলমলে একটা সকাল তো দেখতে পেলাম। ৩০ দিন ইংল্যান্ডে কাটানোর পর এমন একটা সকালের খুব প্রয়োজন ছিল।”
রবিচন্দ্রন অশ্বিনও যে তাঁর ক্যাপ্টেনের মতো জামাইকার উষ্ণতায় খুশি, তা তাঁর টুইটেই স্পষ্ট। তাঁর বক্তব্য, “ঝলমলে রোদ। দুর্দান্ত লাগছে। মনে হচ্ছে দেশে ফিরে এসেছি।” ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোররাতে (স্থানীয় সময়ে বুধবার বিকেলে) জামাইকায় পৌঁছে অশ্বিন টুইট করেন, “ঝলমলে রোদে আমাদের অভ্যর্থনা জানাল জামাইকা। গ্রেট উসেইন বোল্টের বিশাল হোর্ডিং-ও ভুলে যাওয়ার মতো নয়।” সুরেশ রায়নাও টুইটারে লিখেছেন, “জামাইকায় ল্যান্ড করলাম। দীর্ঘ উড়ানের জেট ল্যাগ কাটিয়ে ওঠাই এখন আসল কাজ। তবে এখানকার আবহাওয়া দারুন।” |
জামাইকায় খুদে ভক্তের সঙ্গে ধোনি-রায়না। ছবি: টুইটার |
আবহাওয়া ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ধোনিদের সুন্দর অভ্যর্থনা জানালেও তাঁদের দেশের মাঠে নেমে ভারতীয়রা যে খুব একটা স্বস্তিতে থাকবেন না, তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ক্রিস গেইল। এখানকার সংবাদপত্র জামাইকা অবজার্ভার-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গেইল জানিয়েছেন, “ঘরের মাঠের পরিবেশে ফিরে এসে আমরা চাঙ্গা। শুক্রবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুরুটা করতে পারলে পরের ম্যাচগুলোতেও আমরা খারাপ খেলব না।” চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে আনা হতাশাই যে তাঁদের তাতাচ্ছে, তা জানিয়ে গেইল বলেন, “ওখানে আমাদের ছেলেরা সবাই ফুটছিল। কিন্তু যে ভাবে ছিটকে গেলাম, তা খুব হতাশাজনক। ইংল্যান্ডে যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকেই শুরু করব আমরা। রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে খেলা। ম্যাচটা জমে যাবে।”
জামাইকায় শেষ ওয়ান ডে-তে নেমে ১০৭ বলে ১২৫ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। তার পর থেকে সে দেশে তাঁকেই ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন সবাই। এ বারও সে রকম একটা ইনিংস খেলতে চান। মারলন স্যামুয়েলসের আবার ইচ্ছা, “ফাইনালে উঠে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে খেলে জিততে চাই। তা হলে হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে যাওয়ার দুঃখটা ভুলতে পারব।”
|