|
|
|
|
ক্ষুব্ধ উদ্ধবের মন পেতে মাতোশ্রীতে গেলেন মোদী
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বার কয়েক সুর চড়িয়েই চুপ করে গেলেও শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে অস্বস্তির কাঁটাটা রয়েই গিয়েছিল। এই অবস্থায় উদ্ধবের মন পেতে সটান তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন মোদী।
বিজেপির প্রচার কমিটির প্রধান পদে মোদীকে বসানোর পরেই জোট ছেড়েছেন নীতীশ কুমার। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই উত্তরাখণ্ডে দুর্গতদের উদ্ধার করা নিয়ে মোদীর কাজকর্মের সমালোচনা করে নতুন অস্বস্তি বাড়িয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব। এই অবস্থায় আজ মুম্বইয়ে কয়েকটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে উদ্ধবের বাসভবন ‘মাতোশ্রী’তে যান মোদী। উদ্ধবের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। বিজেপিরই একাংশের বক্তব্য, দলের মুখ হওয়ার পাশাপাশি মোদী এখন এনডিএ-রও মুখ হতে চান এবং সে কারণেই তিনি বর্তমান সঙ্গীদের জোটে ধরে রাখতে মরিয়া। উদ্ধবের বাড়িতে তাঁর যাওয়া সেই অঙ্কেই।
বিজেপির অন্দরে লালকৃষ্ণ আডবাণীরা বারবার বলেছেন যে, মোদীর নাম থাকলে শরিকরা সঙ্গে আসবে না। নীতীশ তো ছেড়েই গেলেন। দলের প্রাক্তন সভাপতি নিতিন গডকড়ীরও ধারণা, মোদীর মতো কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটে গেলে তার ফল ভুগতে হবে। |
মোদীর সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে। ছবি: পিটিআই। |
আজ মোদী যখন মুম্বইয়ে মহারাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন তখন সেখানে গরহাজির ছিলেন নিতিন। যদিও গডকড়ী শিবিরের বক্তব্য, দিল্লি থেকে সময় মতো বিমান ধরতে না পারাতেই এই বিপত্তি। দল প্রকাশ্যে যা-ই বলুক, বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আডবাণী ঘনিষ্ঠ আর এক নেতা যশবন্ত সিন্হাও আজ উদ্ধবের সুরেই মোদীকে একহাত নিয়ে বলেন, কোনও জাতীয় স্তরের নেতার উচিত হয়নি উত্তরাখণ্ডে গিয়ে কোনও একটি রাজ্যের দুর্গতদের নিয়ে ভাবার।
সব মিলিয়ে সমস্যা কোনও ভাবেই পিছু ছাড়ছে না মোদীর। সংখ্যালঘুদের নিয়ে মোদীর প্রস্তাবিত ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ দেখে চটেছেন আরএসএস নেতারা। গত সপ্তাহে মোদী দিল্লিতে এসে দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেন। বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা মুখতার আব্বাস নকভি সেই মতো একটি খসড়া তৈরি করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশও করে দেন। কিন্তু সঙ্ঘের বক্তব্য, এখন যে নীতি নেওয়া হচ্ছে, তা সঙ্ঘের আদর্শের সঙ্গে মিল খায় না। এ নিয়ে বিতর্কে দায় ঝেড়ে ফেলে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ সঙ্ঘকে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই খসড়া তৈরি হচ্ছিল।
এই অবস্থায় মোদী বুঝতে পারছেন, দলের অন্দরের বিরোধিতা, সঙ্ঘের অসন্তোষ, শরিক নেতাদের ক্ষোভ আর বিরোধীদের আক্রমণ এত বাধার মুখে তাঁর পথ মোটেই মসৃণ নয়। তাই তিনি একদিকে যেমন শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে চাইছেন, তেমনই দল ও সঙ্ঘের ভিতরেও সব কিছু ঠিকঠাক রাখার চেষ্টা করছেন। মোদী শিবিরের এক নেতার কথায়, “সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভিশন ডকুমেন্টে’র বিষয়টি মোদী আদৌ ঘোষণা করেননি। একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মাত্র। এই অবস্থায় সেটি বাইরে প্রকাশের দায় নেই মোদীর।
|
পুরনো খবর: বিজেপির পাল্টা বার্তায় সুর নরম উদ্ধবের |
|
|
|
|
|