|
|
|
|
ভুল শুধরে নিয়ে শিন্দেকে ওয়ার্কিং কমিটিতে ঠাঁই
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লোকসভা ভোটের আগে বহু অঙ্ক কষে সম্প্রতি দলের নতুন ওয়ার্কিং কমিটি গড়েছিলেন রাহুল গাঁধী। অথচ লোকসভার নেতা সুশীল শিন্দেই সেই ওয়ার্কিং কমিটিতে ঠাঁই পাননি। ঘরোয়া ভাবে বিষয়টি নজরে আসার পর শেষমেশ আজ স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে শিন্দেকে ওয়ার্কিং কমিটিতে আনল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সুশীল শিন্দে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটে। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে যদিও বলা হচ্ছে, ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রিত্বটা বড় কিছু নয়। কিন্তু লোকসভার নেতা ওয়ার্কিং কমিটিতেই স্থান পাননি, এমন দৃষ্টান্ত বিরল। অতীতে প্রণব মুখোপাধ্যায়-সহ কংগ্রেসের যে নেতারা লোকসভার নেতা হয়েছেন, তাঁরা ওয়ার্কিং কমিটিরও সদস্য ছিলেন। এ বার সাংগঠনিক রদবদলের পর শিন্দের বিষয়টি সনিয়া-রাহুল দু’জনেরই নজর এড়িয়ে যায়। তা ছাড়া, ওই রদবদলের ঠিক পরেই সমস্ত নজর ঘুরে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের দিকে। সূত্রের খবর, গত কাল বিষয়টি সনিয়া-রাহুলের নজরে আনেন দলেরই এক বর্ষীয়ান নেতা। তার পরই জায়গা হয় শিন্দের। ‘ভুল’ শুধরে নেওয়া হলেও এই ঘটনা ঘিরে কংগ্রেসের ঘরোয়া মহলে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, “রাষ্ট্রপতিও লোকসভার নেতা ছিলেন। কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের সময় তাঁর নাম কি কেউ কখনও ভুলে গিয়েছেন, নাকি তা সম্ভব ছিল?” ওই নেতার ব্যাখ্যা, শিন্দের গুরুত্বহীনতাই প্রকট হয়েছে এই ঘটনায়। তা ছাড়া, ওয়ার্কিং কমিটির সাধারণ সদস্য হওয়ার বদলে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে স্থান পাওয়াটা সম্মানজনক নয়।
কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বলছেন, ওয়ার্কিং কমিটিই গুরুত্ব হারিয়েছে। কারণ, এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদ, চিদম্বরম, জয়রাম রমেশের মতো দলের কৌশলী নেতাদের নিয়ে সনিয়া-রাহুল একাধিক কমিটি তৈরি করে রেখেছেন। বিভিন্ন বিষয়ে এই নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই হাইকম্যান্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। কালেভদ্রে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে সেই সব সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয় মাত্র। |
|
|
|
|
|