|
|
|
|
মাওবাদী হামলা রোধে ব্যবস্থা |
স্টেশনে বসছে গোপন ক্যামেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রথমে ছত্তীসগঢ়, তারপর বিহারের জামুই। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে একের পর এক মাওবাদী হামলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যের জঙ্গলমহলেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্যোগী হচ্ছে রেলও। বিশেষ করে জামুইয়ে ট্রেনের উপর মাওবাদী হামলার পর স্টেশনগুলিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তৎপর হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। জঙ্গলমহলের স্টেশনগুলিতে গোপন ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি ‘ইন্টিগ্রেটেড সিকিওরিটি সিস্টেম’ও চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপে খড়্গপুর ও মেদিনীপুর স্টেশনে গোপন ক্যামেরা বসানো হবে। খড়্গপুর ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিওরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র বলেন, “হামলার আশঙ্কা তো থাকেই। তাই স্টেশনগুলিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রথমে খড়্গপুর ও মেদিনীপুর স্টেশনে চালু হলেও ধীরে ধারে সব স্টেশনেই ওই ব্যবস্থা চালু করা হবে।”
শুধু কি স্টেশন সুরক্ষিত করলেই হবে? সুদীর্ঘ রেলপথে তো হামলার আশঙ্কা বেশি! সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? রেল-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রেলপথকে স্টেশনের মতো সুরক্ষিত করা খুবই কঠিন। তবুও আচমকা ‘সেফটি ইঞ্জিন’ চালানো, তল্লাশি, অ্যামবুশ প্রভৃতির মাধ্যমে যতটা সম্ভব সুরক্ষিত করার চেষ্টা হচ্ছে। চন্দ্রমোহনবাবুর কথায়, “আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ রয়েছে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তথ্য সংগ্রহ করছি। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি, অ্যামবুশ, সেফটি ইঞ্জিন চালানো, নানা ভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে।” তবে এখনও ট্রেনের গতি কমানো বা ট্রেন বাতিল করা হয়নি বলে তিনি জানান। জামুইয়ে ট্রেনে হামলার পর এ রাজ্যের জঙ্গলমহল নিয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছে গোয়েন্দা দফতর। তারপরই স্টেশনে দু’ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খড়্গপুর স্টেশনে ৫৮টি ও মেদিনীপুর স্টেশনে ১৭টি গোপন ক্যামেরা লাগানো হবে বলে রেল জানিয়েছে। এক মাসের মধ্যেই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। সঙ্গে আরপিএফের একটি বিশেষ দল গড়ে তোলা হয়েছে। স্টেশন জুড়ে ‘ইন্টিগ্রেটেড সিকিওরিটি সিস্টেম’ তারাই চালাবে। সাধারণ পোশাকে দিনরাত স্টেশনে নজরদারি চালাবে এই দল। স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতেও ঘুরবে। কোথাও কোনও সন্দেহজনক লোক দেখলে খোঁজ নেবে। ওই দলের সদস্যদের কাছে থাকবে মেটাল ডিটেকটর। যাতে ল্যান্ডমাইন থাকলেও সহজেই জানা যাবে। স্টেশন ও স্টেশন চত্বরের এই ধরনের নজরদারিতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গড়ে তোলা যাবে বলেই মনে করছেন রেল-কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|