সম্পাদক সমীপেষু...
তাঁর সঙ্গে পরিচয়
বন্ধুবর শঙ্করলাল ভট্টাচার্যের লেখা ‘ঋতুপর্ণ এবং আরও কয়েক জন’ অকালপ্রয়াত ব্যক্তি সম্পর্কে পড়লাম (৮-৬)। দুটি কথা জানাই। এক, শ্রদ্ধেয় উত্তমকুমারের সঙ্গে এক বারই আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু পার্থপ্রতিম চৌধুরীর ছবি ‘যদুবংশ’য় অভিনয়ের সৌভাগ্য হয়েছিল। এর বাইরেও দেখা হয়েছিল মাত্র এক বারই, পার্থদার বাড়িতে। যত দূর মনে পড়ে, ওঁর ছেলে নয়নের জন্মদিনে। দুই, পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতায় শিল্পী-সংখ্যা প্রচুর এবং তাঁদের এক জনের নাম ব্রতীন দে হতে বাধ্য। আমার দুর্ভাগ্য, তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় নেই।
উলুখাগড়ার বিড়ম্বনা
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, ডানকুনিবাসীর প্রাণ যায়। রেল ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে ‘ডানকুনি উড়ালপুল’ প্রকল্পটির উদ্বোধনের দড়ি টানাটানিতে এগিয়ে ছিলেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ কলকাতার দেশপ্রিয় পাকের্র এক অনুষ্ঠানমঞ্চে বসে রিমোট কন্ট্রোলেই তিনি আংশিক অসম্পূর্ণ সেতুটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন মঞ্চে রাজ্যের অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ এবং রেলের কয়েক জন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও মাননীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরী থেকে যান অনাহূত।
অতঃপর ওই দিন মধ্যরাতেই বন্ধ হয়ে যায় ডানকুনি লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন লালবাড়ি (ডানকুনি ওয়েস্ট কেবিন)-র দরজা। তদুপরি কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না-করেই লেভেল ক্রসিংয়ের উভয় প্রান্তে শালপ্রাংশু লোহার পিলার পুঁতে সিল করে দেওয়া হয় দীর্ঘ দিনের চলাচলের একমাত্র রাস্তা।
ছবি: ভানুপ্রসাদ ভৌমিক
এর প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ এবং নানা সংগঠন সরব হলেও গত কয়েক মাসে সমস্যার জট জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত। স্কুল-ভ্যান, রিকশা, ভ্যান-রিকশা চলাচল ব্যাহত। লেভেল ক্রসিং বন্ধ থাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডানকুনি দ্বিখণ্ডিত। আবার, লেভেল ক্রসিংয়ে পাতা পুরু রবারের পাত তুলে ফেলায় রেলিংয়ের ফাঁকফোকর গলে-আসা মানুষজন নিত্যদিন জখম হচ্ছেন। অন্য দিকে বহু মানুষ প্রাণ হাতে করে ফুটপাথবিহীন উড়ালপুলের উপর দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।
যাত্রীর হাল
দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের যাত্রী-বিক্ষোভের কথা পড়লাম (৭-৬)। সেই সূত্র ধরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন, লাইনে কাজের জন্য ট্রেন চলাচল ব্যাহত হবে। আগেই জানানো হয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীদের সুবিধা হবে।
১৯৭৯ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের নিত্যযাত্রী আমি। আগে হাওড়ায়, সাঁত্রাগাছিতে, এখন পাঁশকুড়ায় কর্মরত। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় ভাল কিছু আর আশা করি না। ভাল পরিষেবা বলতে প্রথমত সময় মতো ট্রেন চলাচল বুঝি। গত ৫-৬ তারিখে টিকিয়াপাড়া স্টেশন থেকে ৭টা ৩০ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে ৮টা ১৯ মিনিট মানে ৪৯ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছয়। লাগার কথা ১৬ থেকে ১৮ মিনিট। দূরপাল্লার ট্রেন, মাল, যাত্রী, ঠেলা, তার মাঝে লোকাল ট্রেনের যাত্রী। যাত্রীরা কী ভাবে যাতায়াত করেন, তার খবর উপরমহল রাখেন কি?
একটি শেডের জন্য
কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে জোকার কাছে বড়রাস্তার ধারে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বিশাল হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন বহু মানুষের সমাগম হয় নামমাত্র মূল্যে সুচিকিৎসার আশায়। কিন্তু হাসপাতালের গেটের কাছে রাস্তার ধারে কোনও যাত্রী-শেড নেই। যে কারণে বাস ধরার জন্য অসুস্থ মানুষকে রোদ-বৃষ্টিতে খুব অসুবিধায় পড়তে হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.