টুকরো খবর
সদ্যোজাতের মৃত্যুতে ক্ষোভ
চিকিৎসার অবহেলায় এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সারিকা নায়েক নামে বছর তেইশের এক প্রসূতি হাসপাতালে পুত্রসন্তান প্রসব করেন। সারিকাদেবীর বাড়ি বেলিয়াবেড়া থানার আশকোলা গ্রামে। সারিকাদেবীর স্বামী শক্তিপদ নায়েক বলেন, “প্রসবের পরই সদ্যোজাতকে শিশু বিভাগে পাঠানো হয়। সোমবার রাত ৮টা নাগাদ স্যালাইন ও ইনজেকশন দেওয়ার পরই আমার ছেলের শরীর নিথর হয়ে যায়। নার্সরা জানান, শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। রাতে স্ত্রীকে খবরটা জানাতে পারিনি।” মঙ্গলবার হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুদীপ কাঁড়ারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শক্তিপদবাবু। কান্নায় ভেঙে পড়ে সারিকাদেবী এ দিন বলেন, “নার্সদের কাছ থেকে জেনেছিলাম, আমার ছেলে হয়েছে। কিন্তু জীবন্ত ছেলেকে চোখে দেখতে পেলাম না।” শক্তিপদবাবু বলেন, “চিকিৎসক ও নার্সরা একবার বলছেন, ছেলের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। আবার বলছেন, ইনফেকশন হয়েছিল। সদ্যোজাত শিশুটিকে কেন এসএনসিইউ-তে রাখা হয়নি সেই প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন ওই বিভাগে শয্যা খালি ছিল না। তাহলে কেন শিশুটিকে অন্যত্র ‘রেফার’ করা হল না সেই প্রশ্নের সদুত্তর কেউ দিচ্ছেন না।” হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুদীপ কাঁড়ার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।”

বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
পেটের অসুখে আক্রান্ত হয়ে বর্ধমান মেডিক্যালে মৃত্যু হল এক মহিলার। বুধবার সকালে সুরজমনি মাণ্ডি (৬৫) নামে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। আউশগ্রাম ১ ব্লকের কয়রাপুরে পেটের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছিল। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বর্ধমানের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায় বলেন, “গ্রামে পানীয় জলের উত্‌স সংক্রমিত হয়ে পড়ায় এই বিপত্তি। কেউ মারা গিয়েছেন বলে খবর পাইনি।” গ্রামের উজ্জল কাজি বলেন, “হাটপুকুর পাড়, ভাগাড় পাড়া, মনসাতলা পাড়া, মেটেপাড়া ইত্যাদি জায়গায় জলের অভাব। দু’টি নলকূপ রয়েছে। তার একটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বলেও নলকূপটি সারাতে পারিনি। ফলে গ্রামের মানুষ অপরিশ্রুত জল পান করতে বাধ্য হয়েছেন।” আক্রান্তদের প্রথমে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করানো হয়। পরে বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচ জনকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ইন্দ্রনাথ মাঝি বলেন, “গ্রামে একটা নলকূপ বহুদিন খারাপ। তাই বাধ্য হয়ে পুকুরের জল পান করতে হয়েছে।” বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সোমবার খবর আসে, দু’জনের পেটের রোগ হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ব্লক অফিস ও স্বাস্থ্য দফতরে খবর দিই। আমাদের মেয়াদ সোমবার শেষ হয়ে যাওয়ায় এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারিনি। তবে গ্রামে বেশ কয়েকটি নলকূপই। সেগুলি সারাতে বলে এসেছি কর্মীদের।”

মেডিক্যালে জলাভাব
পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সদর বিভাগে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত থেকে জলের সঙ্কট দেখা দিলেও মঙ্গলবারে তা তীব্র আকার নেয়। এ দিন সকাল থেকে জলের হাহাকার শুরু হয় বলে অভিযোগ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.