পড়শিকে কুপিয়ে খুন করার দায়ে চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। মঙ্গলবার রঘুনাথপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কৃষ্ণপ্রসাদ বর্মন এই সাজা দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সাজাপ্রাপ্তেরা হলেন শচীন কটকা ও তাঁর তিন ছেলে সর্বজিৎ, সঞ্জিত ও সুরজিৎ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক দোষীদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস জেলের নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অরুণ মণি জানান, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৮ সালের ২৬ এপ্রিল। ওই দিন সকালে রঘুনাথপুর থানার পাঁচুডাঙ্গার চুড়িমহল্লার বাসিন্দা সাজাপ্রাপ্ত চার জনের সঙ্গে পুকুর পাড়ের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বিবাদ বাধে পড়শি মহম্মদ সাহিরের। বাবা-ছেলেরা মিলে বাড়ি থেকে টেনে বের করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাকার লোকের সামনেই সাহিরকে খুন করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের ধরে পুলিশে খবর দেন। ঘটনার দিনই সাহিরের দাদা মহম্মদ মুস্তাক শচীনবাবু, তাঁর স্ত্রী, ছেলেমেয়ে-সহ মোট আট জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন রঘুনাথপুর থানায়। পুলিশ সকলকেই গ্রেফতার করেছিল। বিচারের সময় সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে শচীনাবুর স্ত্রী ও তিন মেয়েকে বেকসুর খালাস করে আদালত।
সরকারী কৌসুঁলি জানান, গ্রেফতারের এক মাসের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন ঘটনার তদন্তকারী অফিসার তথা রঘুনাথপুর থানার তৎকালীন ওসি কুদরত খোদা। ফলে জেলবন্দি অবস্থাতেই ওই চার জনের বিচার হয়েছে। এ দিন এজলাসে বিচারক জানান, এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে ফাঁসি হতে পারত। কিন্তু, তিনি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে যাবজ্জীবন জেলের রায় দিয়েছেন। |