পর্যাপ্ত রোদ না মেলায় ভিজে বাদাম, ক্ষতির আশঙ্কা চাষির
শুরু হয়ে গিয়েছে বর্ষার মরসুম। আবহাওয়া মেঘলা। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। রোদ হচ্ছে সামান্যই। ফলে শুকোচ্ছে না বাদাম।
দেরিতে চাষ করায় এ বার বাদাম-চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আরামবাগ মহকুমার চাষিরা। কেননা, ফসল শুকনো করার আবহাওয়া না মেলায় অনেক বাদামেরই রং কালো হয়ে যাচ্ছে। অর্থকরী ফসলটির গুণমান নষ্ট হচ্ছে বলে চাষি-মহলে হা-হুতাশও শোনা যাচ্ছে। আবহাওয়ার কারণে মহকুমার ৪০ শতাংশ বাদাম নষ্টের আশঙ্কা কৃষি দফতরেরও।
কৃষি দফতর জানাচ্ছে, পাট চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এ বছর বাদাম চাষ গত বছরের ৯ হাজার হেক্টর থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর। আলু চাষের পরে সেই জমিতেই বাদামের বীজ বোনেন চাষিরা। সাধারণত ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত পুড়শুড়া, খানাকুল-১ ও ২ ব্লক এবং গোঘাটের দু’টি ব্লকে বীজবপণ হয়। এ বার ওই নির্দিষ্ট সময় থেকে অন্তত কুড়ি দিন দেরিতে বীজ বপণ হয়।
মহকুমা কৃষি আধিকারিক অশ্বিনী কুম্ভকার বলেন, “এ বার প্রাকৃতিক কারণে আলু চাষ দেরি হওয়ায় ওই একই জমিতে পরবর্তী বাদাম চাষেও দেরি হয়েছে। সাধারণ ভাবে বর্ষার আগে জমি থেকে বাদাম তোলার পরে বাদামে জলীয় অংশ থাকে ৫০ শতাংশ। তা রোদে শুকিয়ে অন্তত ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে ফসলের গুণমান ঠিক থাকে। এ বার তো অনেক চাষিকে ভিজে কর্দমাক্ত জমি থেকে ফসল তুলতে হয়েছে। ফলে টানা দিন কয়েক রোদ খাওয়ানোর যে আবহাওয়া দরকার ছিল, তা মিলছে না। চাষিরা সমস্যায় পড়েছেন।”
পুড়শুড়ার দিবাকর সামন্ত বলেন, “প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আলু চাষে দেরি হয়। সে কারণেই বাদাম চাষে সঙ্কট। একই বক্তব্য গোঘাটের সজল রায়, খানাকুলের শেখ হসমত আলি. আরামবাগের রাংতাখালির হেমন্ত মণ্ডলদের।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.