স্কুলের শূন্য পদে শিক্ষিকা নিয়োগের দাবিতে পরিচালন সমিতির সচিব ও সভাপতি-সহ তিন জনকে ঘিরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা। মঙ্গলবার বিকেলে, ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ের ঘটনা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলার পরে পরিচালন সমিতির সদস্যদের লিখিত আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
ওই স্কুলটি পরিচালন সমিতির দায়িত্বে রয়েছে ব্রাহ্ম সমাজ। পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রেমময় দাস বলেন, “আমরাও চাইছি শিক্ষিকা নিয়োগ করতে। অভিভাবকদের দাবি মেনে তা উপরমহলকে জানিয়ে দেব।” বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক অভিভাবক অম্লান সরকারের আশা, পরিচালন সমিতি ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিক্ষিকা নিয়োগ করবে। |
খালি পদে শিক্ষিকা নিয়োগের দাবিতে ঘেরাও ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ে। —নিজস্ব চিত্র। |
স্কুল সূত্রে খবর, এ দিন ছিল অভিভাবক-শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির বৈঠক। অভিযোগ, বৈঠকে শিক্ষিকা নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি পরিচালন সমিতির সদস্যেরা। তাতেই উত্তেজিত হন অভিভাবকেরা। সদস্যদের ঘেরাও করা হয়। এক অভিভাবিকা সোমা সরকার বলেন, “আমরা চাই স্কুলে আরও ভাল পড়াশোনা হোক। কিন্তু সব বিষয়ে শিক্ষিকা না থাকায় তা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।” শুধু অভিভাবকরাই নন, ছাত্রীরাও চান তাঁদের সব বিষয় পড়ানো হোক। দশম শ্রেণির এক ছাত্রী রিয়া দাসের কথায়, “এই স্কুলেই পড়তে চাই। কিন্তু সব বিষয়ের শিক্ষক নেই।” পরিচালন সমিতির সম্পাদিকা মধুলিকা ঘোষ বলেন, “এই ঘটনা অনভিপ্রেত। আমরা চাই শিক্ষিকা নিয়োগ করে পঠন-পাঠন ঠিক মতো হোক।”
স্কুল সূত্রে খবর, মোট শিক্ষিকার স্থায়ী পদ ৩৩টি। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ২২টি পদ খালি। শিক্ষিকাদের অভিযোগ, ১৯৯৭ সালের পর থেকে ওই স্কুলে নতুন করে স্থায়ী পদে শিক্ষিকা নিয়োগ হয়নি। শিক্ষিকাদের দাবি, বর্তমানে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২০০। এক শিক্ষিকা মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, পরিচালন সমিতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়ম মেনে শিক্ষিকা নিয়োগ করছে না। শিক্ষিকা নিয়োগ না হওয়াতে ক্লাস ঠিক মতো হচ্ছে না বলেও তাঁর অভিযোগ। |