|
|
|
|
কংগ্রেস কর্মীকে খুনের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
এক কংগ্রেস কর্মীকে হাঁসুয়া দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের মদতপুষ্ট কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা তিনটে নাগাদ রতুয়া থানার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের নরোত্তমপুর দিয়ারার মন্ডলপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, নিহত কংগ্রেসকর্মীর নাম নন্দলাল মণ্ডল (৩০)। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর দাদা স্বপনবাবু মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। তাঁকে প্রথমে রতুয়া হাসপাতালে ভতি করানো হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তরা পালিয়েছে। পুলিশ তল্লাশি করছে।”
এলাকার কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের অভিযোগ, “তৃণমূল কংগ্রেসের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের এক কর্মীকে কুপিয়ে খুন করেছে। আমার বিলাইমারিতে নিবার্চানী সভা ছিল। সেই সভায় নন্দলাল মণ্ডল যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা নন্দলালকে তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল।”
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। সাবিত্রী দেবীর অভিযোগ, “জেলায় কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই কংগ্রেস জেলা জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দুদিন আগে চাঁচলের চন্দ্রপাড়ায় আমার সভায় কংগ্রেসের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা বোমা ফাটিয়েছে।” সাবিত্রী দেবীর দাবি, “খুনের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে কংগ্রেস। মৃত্যু নিয়ে কংগ্রেস রাজনীতি করছে। জেলা পুলিশ সুপারকে বলেছি যারা খুন করেছে তাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করুন।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। জখম স্বপনবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের নরত্তমপুর দিয়ারা এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা তাঁর ভাইকে হুমকি দিচ্ছিলেন।
এ দিন মহান্দটোলায় কংগ্রেস সাংসদের নিবার্চনী সভা ছিল। সেই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য নন্দলাল দুপুরে বাড়ি থেকে বার হন। কিছু দূর যেতেই ৯-১০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে এলোপাথাড়ি হাঁসুয়া চালাতে থাকে বলে অভিযোগ। |
|
|
|
|
|