|
|
|
|
প্রশাসনের কাছে আর্জি স্ত্রী’র |
ট্রাক চালক স্বামী সাত মাস বন্দি
বাংলাদেশের
জেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
প্রায় ৭ মাস ধরে বাংলাদেশের জেলে বন্দি, ট্রাক চালক স্বামীকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে তাঁর স্ত্রী দুই শিশু সন্তান নিয়ে মালদহের জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার দীপালি রায় নামের ওই মহিলার আর্জির পরেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশের জেলে বন্দি ওই ট্রাক চালককে উদ্ধার করতে সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের হাই কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। যত দিন না তাঁকে উদ্ধার করা যাচ্ছে পরিবারকে সাহায্য করা হবে।”
২০১১-র ৩০ অক্টোবর মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পেশায় ট্রাক চালক বাবুরাম রায় বৈধ কাগজপত্র সহ ভূট্টা বোঝাই ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে যান। ওই দিন আরও শতাধিক ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছিল। বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জে সোনা মসজিদ স্থল বন্দরে সেদেশের জওয়ানরা বাবুরাম রায়ের ট্রাক আটক করে ও বাবুরামকে শিবগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযোগ, বাবুরাম রায়ের ট্রাক থেকে ১৭ বোতল মদ উদ্ধার হয়েছিল। বাংলাদেশের আদালত বাবুরামকে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলে পাঠিয়ে দেয়। তাঁকে ছাড়ানোর উদ্যোগ নেয় মহদিপুর এক্সপোর্টার অ্যসোসিয়েশন। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সমীর ঘোষ বলেন, “বাবুরামকে ছাড়াতে বাংলাদেশের আইনজীবীদের সাহায্য নিয়েছিলাম। ৭ মাস আগে তিনি জেল থেকে রেহাই পান। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য তিনি ভারতে ফিরতে পারছেন না। রেহাই পাওয়ার পরেও তাঁকে বাংলাদেশে বন্দি জীবন কাটাতে হচ্ছে।” বাবুরামবাবুর স্ত্রী দীপালিদেবী এই প্রসঙ্গে বলেন, “দেড় বছর ধরে স্বামীর কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। দুই সন্তানকে নিয়ে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। সম্ভবত মিথ্যা অভিযোগে ও গ্রেফতার হয়। আদালত রেহাই দেওয়ার পরেও স্বামী জেলে আছেন। ওঁকে এদেশে ফেরানোর জন্য কেউ উদ্যোগী হচ্ছে না। জেলাশাসককে সব জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|