ট্রলি ব্যাগের হাতলের ফাঁপা অংশে সোনার বাট পাচার করার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা অফিসারেরা। ডি আর আই সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা। রবিবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে সোনা সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে দুজন মহিলা-সহ এক নাবালিকাও রয়েছে।
সোমবার ধৃত প্রহ্লাদ সোনি, বিজয় কুমার, বিজয়ের স্ত্রী চন্দনা কুমার এবং তাদের মেয়ে প্রিয়াংশু কুমারীকে শিলিগুড়ি অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক মধুমিতা বসুর এজলাসে তোলা হয়। প্রথম তিন জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নাবালিকা প্রিয়াংশুকে শিলিগুড়ির জুভেনাইল কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে উদ্ধার হওয়া সোনা। —নিজস্ব চিত্র।
ডিআরআই-এর আইনজীবী রতন বণিক জানান, ধৃতদের মধ্যে প্রহ্লাদ দমদমের সিঁথির বাসিন্দা। বাকিরা বিহারের রোহতক এলাকার। ৪টি ট্রলি ব্যাগের আটটি হাতলে ৪০টি সোনার বাট ছিল। উদ্ধার সোনার বাটের ওজন ১৪৫৪০ গ্রাম। সোনাগুলি মায়ানমার থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে গোয়েন্দারা জেরায় জানতে পেরেছেন। ধৃত প্রহ্লাদ সোনি চক্রের মূল পাণ্ডা বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ। ধৃত দম্পতি প্রহ্লাদের আত্মীয়। তাঁদের কামাখ্যা ঘুরিয়ে আনার কথা বলে অসমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গোপনে তাঁদের ব্যাগের হাতলে ওই সোনা ঢোকানো হয়েছিল বলে ধৃত বিজয় কুমার জেরার দাবি করেছেন।
ডিআরআই সূত্রে খবর, মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে এদেশে সোনা ঢুকেছিল। সেখান থেকে একটি দল অসমে এসে সোনাগুলি ধৃতদের হাতে দেয়। সেখান থেকে ডিব্রুগড় হয়ে ধৃতরা কামরূপ এক্সপ্রেসে হাওড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিআরআই-র অফিসারেরা স্টেশনে হানা দেন। সোনার বাটগুলি কলকাতায় বড়বাজারের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অফিসারদের সন্দেহ।
কয়েক মাস আগে শুল্ক দফতরও নেপাল থেকে আনা ১ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করে নকশালবাড়ি থেকে। সম্প্রতি সরকার সোনার দাম এবং আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ায় পাচার বেড়ে গিয়েছে বলে এ দিন ডিআরআই অফিসারেরা জানিয়েছেন।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.