বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে রক্ষীবিহীন লেভেল-ক্রসিংয়ে টেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন যুবক বরযাত্রীর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঝালদা স্টেশনের অদূরে। রেলপুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সৌমেন কুইরি (১৮), বুধরাম কুইরি (২২) ও পর্তুক মাহাতো (১৮)। তাঁদের সকলেরই বাড়ি ঝালদা থানা এলাকার কুদলং গ্রামে। নীলকান্ত মাহাতো ও সুফল মাহাতো নামে দুর্ঘটনায় জখম আরও দু’জনকে রাঁচি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঝালদার ইলু গ্রামের বাসিন্দা নীলকান্ত বরযাত্রীর গাড়িটির চালক। সুফলের বাড়িও কুদলংয়ে। রেলপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কুদলং থেকে একটি ছোট গাড়িতে (পিক-আপ ভ্যান) স্থানীয় পাটঝালদা গ্রামের বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন ওই বরযাত্রীরা। যাওয়ার পথে ঝালদা স্টেশনের কিছু দূরে একটি রক্ষীবিহীন লেভেল-ক্রসিং পড়ে। তাঁদের গাড়িটি রেললাইন পার হওয়ার সময় কোটশিলার দিক থেকে ধানবাদ-মুরি প্যাসেঞ্জার ট্রেন সজোরে এসে বরযাত্রীর গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। পিক-আপ ভ্যানটিতে জনা ছয়েক সওয়ারি ছিলেন। তিন জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এক জন কোনও ক্রমে বেঁচে যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় বিধায়ক নেপাল মাহাতো আহতদের রাঁচি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। রাঁচির ডিআরএম গজানন মালিয়া বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বরযাত্রীদের গাড়িটিতে গান চলছিল। যে কারণে ট্রেন আসার শব্দ চালক বা অন্য কেউ শুনতে পাননি। রেললাইনের উপরে উঠে পড়ার পরে তাঁরা সম্ভবত ট্রেন দেখতে পেয়ে গাড়িটি পার করার চেষ্টা করেন। তার আগেই গাড়িটির পিছনের অংশের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষ হয়।”
|
তৃণমূল, বিজেপি এবং কংগ্রেস সমর্থক ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোট চাইতে হবে। দলীয় কর্মীদের এমনই পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র। সোমবার বিকেলে বাঁকুড়ার রাইপুরে দলের নির্বাচনী সভায় সূর্যকান্তবাবু দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “কারা আমাদের সমর্থক, আর কারা নন, সে-সব বাছবিচার না করে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস-সহ প্রতিটি দলের সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের সমর্থনের জন্য আপনারা ভোট চাইবেন। ভালমন্দ বিচার করে মানুষ আমাদেরই ভোট দেবেন।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে সূর্যবাবুর দাবি, উনি বলছেন পঞ্চায়েত নির্বাচন চান। তার মানে উনি চান না। সিপিএম নেতার কটাক্ষ, “গত দু’বছরের অভিজ্ঞতায় প্রমাণ হয়েছে, উনি যা বলেন তার উল্টোটা হয়। উনি বলছেন, জঙ্গলমহলে ৯৫ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। তার মানে জানবেন হয়নি। আর নারী নির্যাতন---যেটায় রাজ্য প্রথম হয়েছে, উনি সেটাই বলছেন হয়নি।” এ দিনই বিকেলে হিড়বাঁধে এক নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “আমাদের মা-মাটি মানুষের সরকার জঙ্গলমহলের ব্যাপক উন্নয়ন শুরু করেছে। তাতে ভয় পেয়ে সিপিএম গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমাদের দলের নামে মিথ্যা কুত্সা শুরু করেছে। হিড়বাঁধ ব্লককে জঙ্গলমহলের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব।” |