ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। তবুও ভোট-সন্ত্রাসে দাঁড়ি পড়ার লক্ষণ নেই।
রবিবার রাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। কয়েক জায়গায় আবার তৃণমূল সমর্থকেরা মারধরের অভিযোগ করেছেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই রাতে কৃষ্ণনগর সংলগ্ন ভালুকার আনন্দবাস গ্রামে সিপিএম প্রার্থী সজিপা বিবির বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই শাসকদলের চোখরাঙানিতে ঘরছাড়া সজিপা বিবি। প্রার্থীর বাড়িতে হামলার পাশাপাশি বনগ্রামের আদিবাসীপাড়াতেও তৃণমূলের লোক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাম নেতৃত্বের দাবি, আদিবাসী পরিবারগুলি তাঁদের সমর্থক। তাই তৃণমূলের লোক তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়।
এ ছাড়া ওই রাতে আসাননগর পঞ্চায়েতের দফরপোতা গ্রামে সিপিএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী কালীপদ ঘোষের বাড়িতেও হামলা হয়। সিপিএমের দাবি, এর পিছনেও হাত রয়েছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। ওই গ্রামেরই আরও অন্তত ২০ জন সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসকদলের পাল্টা অভিযোগ, দফরপোতায় বহিরাগতদের এনে সিপিএম অশান্তি ছড়াচ্ছে। গন্ডগোলের জেরে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। সোমবার আক্রান্ত জায়গাগুলিতে যান বাম প্রতিনিধিরা। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুকুমার চক্রবর্তী বলেন, “রাতে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। ভয়ে আমাদের প্রার্থী ঘরছাড়া।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত’র বক্তব্য, “বহিরাগতদের এনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে সিপিএম। বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও কর্মী জড়িত নয়।” দফরপোতার ঘটনায় পুলিশ সিপিএমের তিন সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। অথচ বাম সমর্থক বাড়ি তছনছের ঘটনায় অভিযুক্তদের টিকি ছঁুতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে তৃণমূল কর্মীদের মারধরে জড়িত অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত এগোচ্ছে। |