ক্রমান্বয়ে বেড়ে ওঠা নারী নির্যাতনের ঘটনায় শেষ সংযোজন খড়গ্রাম। খরজুনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার দুপুরে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে খড়গ্রামের গহিরা গ্রামে। ঘটনার পরেই ওই মহিলা খড়গ্রাম থানায় গ্রামের যুবক বিমান রাজবংশীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পরেই ওই যুবক অবশ্য পালিয়ে গিয়েছে। সোমবার কান্দি মহকুমা আদালতে ওই মহিলা গোপন জবানবন্দি দেন। তার আগে রবিবার কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই মহিলার ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাগোয়া বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর এলাকার নন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা ধান কাটার কাজে খড়গ্রামে আসেন। ওই মহিলার সঙ্গে পরিবারের অনেকেই এসেছিলেন। ধান কাটার কাজ নিয়ে এলাকায় এসে তাঁরা স্থানীয় পঞ্চানন মণ্ডলের বাড়িতে থাকতেন। অভিযোগ, শনিবার দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পরে মজুরি আদায়ে বের হয়েছিলেন। সেই সময়ে গ্রামের ওই যুবক মহিলার মুখ চেপে ধরে জোর করে তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে একটি গোয়ালঘরের মধ্যে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ওই মহিলার স্বামী ও দেওর। বিমানকে বাধা দিলে উল্টে সে-ই মহিলার স্বামী ও দেওয়রকে বাঁশ পেটা করে। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই মহিলা বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় ওই যুবক আমাকে ধর্ষণ করে। চিত্কার করতে গেলে আমার মুখ চেপে ধরে। ভর দুপুরে এলাকায় লোকজনও ছিল না। আমার চিত্কার কেউ শুনতে পায়নি।”
|
অবশেষে মায়াপুরের হোটেল-লজ নিয়ে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। রবিবার রাতে নদিয়ার ডিএসপি (ডই্যান্ডটি) রবিউল আলাওল সর্দারের নেতৃত্বে মায়াপুরের হুলোরঘাট সংলগ্ন একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের নবদ্বীপের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। নবদ্বীপ-মায়াপুরের বেশ কয়েকটি হোটেলে নানা অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ ছিল পুলিশের কাছে। পুলিশ এর আগেও অভিযান চালিয়ে অনেককে ধরেছে। রবিবারের অভিযান প্রসঙ্গে নবদ্বীপ নাগরিক কমিটির সম্পাদক দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একটা হোটেল থেকে এক রাতে অভিযান চালিয়ে যদি এতজনকে গ্রেফতার করা যায়, তাহলে বিষয়টা কতটা মারাত্মক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।” এমন অভিযানে খুশি মায়াপুর ইস্কনের জন সংযোগ আধিকারিক রমেশ দাস। তিনি বলেন, “এমন নজরদারি নিয়মিত হোক।”
|
টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের চার বিক্ষুব্ধ নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন। সুতি-২ ব্লকের এই চার নেতাকেই কংগ্রেস সোমবার বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃতরা হলেন ব্লক কংগ্রেসের সহ সভাপতি অনিতাদেবী জৈন, ব্লকের সাধারণ সম্পাদক পরেশ সরকার, ব্লক কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী বিউটি বেগম ও বাজিতপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি আল্লারাখা শেখ। |