ভোট নিয়ে খুচরো গোলমাল চলছেই
ভোট হবে কি না—তা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যেই চলছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। অনুষঙ্গ হিসাবে রয়েছে খুচরো গোলমালও। সোমবার সন্ধ্যায় দাঁতন ২ ব্লকের তুরকা গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাপুর-বেলদা গ্রামে সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের দাঁতন ২ জোনাল সম্পাদক আবদুল রহিমের অভিযোগ, “ওই বুথের সিপিএম প্রার্থী শিবপ্রসাদ দাস সন্ধ্যার সময় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তৃণমূলের লোকজন তাঁকে মারধর করেন। দাঁতন ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করতে হয়।”
অন্য দিকে, দাঁতন ২ ব্লকেরই তালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈঁচা বুথে সিপিএমের প্রার্থী হওয়ার ‘অপরাধে’ মান সিংহ হেমব্রমকে চাষের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ, অবিলম্বে প্রচারপত্র বিলি করে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শৈবাল গিরি বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। দু’টি ঘটনার কোনওটির সঙ্গেই আমাদের দল যুক্ত নয়।”
এ দিকে, হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের জয়নগর গ্রামের ৮৫, ৮৬ ও ৮৮ নম্বর বুথে শনিবার সিপিএমের পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সিপিএমের অভিযোগ, দলের পতাকা ও ব্যানারগুলি ছিঁড়ে গুরুপদ দাস মুহুরি-সহ তিন দলীয় কর্মীকে মারধর করেছে তৃণমূলের লোকেরা। দুর্গাচক থানায় তৃণমূল কর্মী স্বপন নায়েক, শঙ্কর নায়েক, হেমন্ত মণ্ডল সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছে সিপিএম। গত শুক্রবার সিপিএম তাদের পতাকা ছিঁড়েছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। তার পরেই এ দিনের গোলমাল। যদিও তৃণমূলের ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী তথা সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তুষার মাইতির দাবি, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি রবিবার রাতেও সিপিএমের পতাকা অক্ষত দেখেছি। ওরাই সন্ত্রাস করছে।”
সোমবার বিনপুর থানার এড়গোদা অঞ্চলের মেদিনী গ্রামে তৃণমূলের দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল কর্মীরা দেওয়াল লিখতে গেলে ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) কর্মীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। চুনারাম টুডু নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ঝাড়খণ্ডীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে এড়গোড়া পঞ্চায়েতের ঝাড়খণ্ডী সদস্য প্রধান মুর্মু ও ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) কর্মী জগৎ মুর্মুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকেরা জোর করে মেদিনী গ্রামে আমাদের সমর্থকদের বাড়ির দেওয়াল দখল করে লিখতে গিয়েছিল। আপত্তি জানানোয় পুলিশ আমাদের দুই কর্মীকে ধরেছে। বিকেলে আমি থানায় আটক দুই কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেখা করতে দেয়নি।” চুনিবালার আশঙ্কা, শাসক দলের নির্দেশে পুলিশ প্রধান ও জগতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় সাজানো মামলা রুজু করতে পারে। চুনিবালার অভিযোগ, মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার নেতৃত্বে তৃণমূলের বাহিনী আদিবাসী গ্রামগুলিতে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। মন্ত্রী সুকুমারবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “এড়গোদা অঞ্চলে ঝাড়খণ্ডীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। ওরাই এদিন মেদিনী গ্রামে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে। পুলিশ যাদের ধরেছে, তাদের বিরুদ্ধে বন্দুক নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.