চ্যাম্পিয়নদের মেজাজ বোধহয় এরকমই হয়। এজবাস্টনের মহা লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে মরিয়া মুখগুলো ম্যাচের পরে যে ভাবে উৎসবে মেতেছিল হোটেলে ফিরে সেই মেজাজ অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। বিশ্বকাপ জয়ের দু’বছর পর টিম ইন্ডিয়ার অধরা বিশ্ব খেতাব জয়ের উৎসব চলল সোমবার ভোর পর্যন্ত। তবে মাঠের ভিতরের ‘ক্যাপ্টেন’ কিন্তু এই উৎসবের নেতৃত্বে ছিলেন না। আগাগোড়া পার্টিতে রোহিত শর্মা, শিখর ধবনদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিরাট কোহলি।
বৃষ্টির জন্য ছ’ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচের শেষেও অক্লান্ত সমর্থকরা ধোনিদের টিমবাস ধাওয়া করে টিম হোটেল পর্যন্ত। প্রিয় তারকাকে সামনে থেকে আরও একবার দেখার আশায়। নিরাপত্তা রক্ষীরা সমর্থকদের অবশ্য ক্রিকেটারদের ধারে-কাছে ঘেঁষতে দেননি। ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ব্রিটিশ তামিলদের মাঠের মধ্যেই বিক্ষোভ দেখানোর পর সতর্ক ছিল আয়োজকরাও। ভারতীয় দলের উপর কার্যত অঘোষিত ‘কারফিউ’ জারি ছিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য নিরাপত্তা নিয়ে সব কড়াকড়ি তুলে নেয়। ভারতের টিম ম্যানেজার রঞ্জিব বিসওয়াল বলেন, “সবাইকে একটু মজা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে থেকে ক্রিকেটে ফোকাস করতেই ব্যস্ত থাকি আমরা। কিন্তু রবিবারের রাত ওদেরই ছিল। দুর্দান্ত একটা ফাইনাল জিতেছে বলেই টিমের সবার উৎসব করার সুযোগ তো পাওয়াই উচিত।”
|
বুধবার ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে উড়ে যাবে ভারতীয় দল। দু’দিন বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ ছিল বলেই বিরাটদের রবিবারের পার্টিতে নিষেধের বালাই ছিল না। রঞ্জিব বিসওয়াল বলেন, “লন্ডন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরা পর্যন্ত বিশ্রাম করার করার সুযোগ থাকায় পার্টিতে আপত্তি ছিল না।” আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? তিনি কী করলেন? শোনা যাচ্ছে, ৩১ বছর বয়সি টিমের সবথেকে সিনিয়র ক্রিকেটারও বিরাটদের আনন্দে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সামিল ছিলেন। তবে নিয়মের কড়াকড়ি শিথিল করা হলেও কোনও ক্রিকেটারের বান্ধবীকে পার্টিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাডেজাদের উৎসবের আরও একটা বড় কারণ ছিল ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট আর একদিনের সিরিজে হারার দু’বছর পর এজবাস্টনে বদলা নেওয়াটা। রঞ্জিববাবু বলেন, “সেই দুটো সিরিজে হারার পর প্লেয়ারদের মনে যে আঘাত লেগেছিল কেউ সেটা ভোলেনি। তাই কুকদের দেশের মাঠের হারানোর পর সেলিব্রেশনের মেজাজটাও ছিল একেবারে অন্যরকম। বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মতোই।
|
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই ভেবেছিলাম ডাক পাব: সামি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পাবেন, ভেবেছিলেন। কিন্তু সেটা আর আসেনি। টিমে তিনি ঢুকলেন, তবে ইরফান পাঠানের পরিবর্ত হিসেবে। বাংলার পেসার তাই উচ্ছ্বসিত নন, সংযত। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতীয় দলে আবার ডাক পেয়ে সামি আহমেদের মনে হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টিমে থাকতে হলে এটাই তাঁর সর্বশেষ সুযোগ। “ওয়েস্ট ইন্ডিজে আগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমার। জানি ওখানকার পরিবেশ কী রকম। গেইলের বিরুদ্ধে বল করতে হবে জানি। কিন্তু তাতে ঘাবড়াচ্ছি না। লাইন লেংথটা ঠিক রেখে করে যাব। ওখানে কী ভাবে উইকেট তুলতে হয় আমি জানি,” সোমবার সন্ধেয় বলছিলেন সামি। মাত্র চব্বিশ ঘণ্টারও কম নোটিশে যাঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্লাইট ধরতে হচ্ছে। বলছিলেন, “আইপিএলে সে ভাবে সুযোগ পাইনি। কিন্তু তাতে অসুবিধা হবে না। মনে হচ্ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই ডাক পেয়ে যাব। আমার পারফরম্যান্স তো খারাপ ছিল না। কিন্তু হল না। তবে এই টুর্নামেন্টটাও আমার কাছে প্রবল গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টিমে আমাকে থাকতে হলে এ বার ভাল কিছু করতেই হবে।”
|
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করল বিসিসিআই। চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেক প্লেয়ার এক কোটি টাকা এবং প্রত্যেক সাপোর্ট স্টাফকে ৩০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা জানিয়েছে বোর্ড। |