প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়িয়ে রিলায়্যান্স সংস্থাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য আগেই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত। এ বার চার বাম দল একজোট হয়ে মনমোহন সিংহ সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামল। শুধু কেন্দ্র নয়, বামেদের তির বিজেপি-র দিকেও। সীতারাম ইয়েচুরি, গুরুদাস দাশগুপ্তর প্রশ্ন, বিজেপি এই গোটা বিষয়ে চুপ কেন? যত দ্রুত সম্ভব কৃষ্ণা-গোদাবরী অববাহিকার প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কিন্তু চার বাম দলের সাংসদরা আজ একজোট হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে সরকারের মধ্যেই এ বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে সার ও বিদ্যুৎ মন্ত্রক, সেখানে এ বিষয়ে কেন এত তাড়াহুড়ো করছে সরকার? বামেদের দাবি, এ বিষয়ে মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হোক। তারপরে সংসদে আলোচনার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হোক। |
সারদা গোষ্ঠী-সহ বেসরকারি অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলির কাজকর্ম নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দু’টি রিট আবেদন গৃহীত হয়েছে। মামলার শুনানি যাতে তাড়াতাড়ি হয়, সেই আবেদনও গ্রহণ করেছে সর্বোচ্চ আদালত। একটি আবেদন করেছেন সুব্রত চট্টরাজ, অন্যটি প্রতিম সিংহরায় ও আবু আব্বাসউদ্দিন। সংবিধানের ২৩ ধারা অনুযায়ী আবেদনকারীরা দু’টি ক্ষেত্রেই জনস্বার্থের মামলা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, বেআইনি লগ্নি সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করে বহু মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বেআইনি লগ্নি সংস্থাগুলির নামের তালিকা প্রকাশ করা হোক। সিবিআই তদন্ত হোক। ওই সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেন্দ্র এমন একটি সংস্থা তৈরি করুক, যাতে অর্থ, আইন, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক, সিবিআই, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সেবি-র প্রতিনিধিরা থাকবেন। তাতে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, বিহারের প্রতিনিধি রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে। সারদা, অ্যালকেমিস্ট ও পৈলান সংস্থার উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে। সেবি-র তত্ত্বাবধানে ওই সংস্থাগুলি কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিমে নথিভুক্ত। তাই রাজ্য সরকারগুলিকে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা নেওয়া হয় না। এই ব্যাপারে কেন্দ্রই যাতে ব্যবস্থা নেয়, তার ব্যবস্থা করার আর্জি জানান আবেদনকারীরা।
পুরনো খবর: সুদীপ্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট বারুইপুরে |
উত্তরাখণ্ডে ত্রাণকাজ শুরু করল রামকৃষ্ণ মিশন। সোমবার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ-সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ জানান, ২৩ জুন রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অগস্ত্য মুনি এলাকায় একটি ত্রাণশিবির চালু করেছেন হরিদ্বার সেবাশ্রম, কনখলের সন্ন্যাসীরা। সেখানে ১৫ জন সন্ন্যাসী এবং চিকিৎসকেরা কাজ করছেন। ত্রাণশিবির থেকে দুর্গতদের শুকনো খাবারের প্যাকেট, জল, ওষুধ এবং শিশুদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা থেকে আরও চার জন সন্ন্যাসী ওই ত্রাণশিবিরে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের একটি দল ২৪ জুন কনখলে পৌঁছেছে। স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, “কয়েক দিন পরে দুর্গতদের রান্না করা খাবার দেওয়া হবে। দেওয়া হবে কম্বল, জামাকাপড়ও। পরবর্তী পর্যায়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।” সে-জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আবেদন জানানো হয়েছে। দুর্গতদের সাহায্যার্থে নগদে বা রামকৃষ্ণ মিশনের নামে চেক কেটে অনুদান দেওয়া যাবে। বেলুড় মঠের ওয়েবসাইটের (www.belurmath.org/donation.php) মাধ্যমে অনলাইনেও অনুদান দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মিশন-কর্তৃপক্ষ। |