|
|
|
|
মেঘালয় |
খনিতে কুপিয়ে খুন ৮ শ্রমিককে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
পরপর দু’টি কয়লাখনিতে হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হল ভিনরাজ্যের ৮ শ্রমিককে। কাল রাতে মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড়ে ঘটনাটি ঘটে।
নাঙালবিবরা এলাকায় ওই গণহত্যার জেরে দক্ষিণ গারো হিল জেলায় অনির্দিষ্টকালীন কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। প্রাণের ভয়ে গারো পাহাড় ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার-হাজার বহিরাগত শ্রমিক।
জেলার পুলিশ সুপার ডেভিস নেসটেল আর মারাক জানান, নাঙালবিবরা এলাকার ডোবাকল ও গারেগিট্টিম কয়লা খনিতে ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী লাঠি, দা, ছুরি নিয়ে চড়াও হয়েছিল। ডোবালকের খনিতে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে সাতজন শ্রমিককে খুন করে তারা। লুট হয় ৮০ হাজার টাকা। পরে গারেগিট্টিমের খনিতে লুট চালাতে গিয়ে আরও এক শ্রমিককে পিটিয়ে মেরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। আহত হয় তিনজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলাশাসক পি গোতমার জানিয়েছেন, ঘটনাটি বহিরাগত শ্রমিকদের উপর এলাকার বাসিন্দাদের হামলা নয়। নিছক ডাকাতির জন্যই ওই খনিগুলিতে চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বাধা পেয়ে খুন করা হয় ওই শ্রমিকদের। ফের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত রাতের ওই হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত বহিরাগত শ্রমিকরা। গারো পাহাড় ছেড়ে পালাচ্ছে তাঁরা। পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে বাবু আলি, ফজির আলি, মদন আলি, মইনাল হক, ইসমাইল আলি গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। হরজিৎ আলি ও শাহজাহান আলির বাড়ি ছিল ধুবুরিতে।
শুক্রবার রাতে পশ্চিম গারো পাহাড়ের ওয়াদানাং এলাকায় অসমের পাঁচ শ্রমিক এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে ধরে ফেলেন। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই শ্রমিকদের পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে হাসপাতালে আক্রমণ চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে দু’জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। চার জন জখম হয়। |
|
|
|
|
|