|
|
|
|
আজই শ্রীনগর যাচ্ছেন মনমোহন-সনিয়া |
সেনা কনভয়ে জঙ্গি হানা, হত ৮
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীনগর |
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীর কাশ্মীর সফরের ঠিক আগের দিন বিকেলেই শ্রীনগরের শহরতলি হায়দারপোরা এলাকায় সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা চালাল জঙ্গিরা। ঘটনায় নিহত ৮ জন জওয়ান। অন্তত ১৯ জন জওয়ান আহত হয়েছেন বলেও খবর। সেনা সূত্রের খবর, তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত তিন দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জঙ্গি হানার কবলে পড়ল কাশ্মীর। তবে এর জন্য মনমোহন সিংহের সফরসূচিতে কোনও ধরনের পরিবর্তন হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
সিআরপিএফের আইজি নলিন প্রভাত সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কাশ্মীরের দিকে যে জাতীয় সড়কটি যাচ্ছে সেটির পান্থচৌক-পারিমপোরা অংশে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনভয়টি লক্ষ্য করে জনা তিনেক জঙ্গি গুলি ছুড়তে থাকে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে সিআরপি এবং পুলিশ। তার আগেই অবশ্য দুই যুবকের কাছ থেকে মোটরবাইক কেড়ে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। |
|
তখনও চলছে সংঘর্ষ। সোমবার। ছবি: এএফপি |
বারাজুল্লার কাছে তাদের থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সঙ্গে ছিল সিআরপিএফ। জঙ্গিরা তাদের দিকে একটি গ্রেনেড ছুড়ে দেয়। তার ফলে আহত হন সিআরপি-এর এক জন সাব-ইন্সপেক্টর, এক পুলিশকর্মী এবং এক মহিলা। এর পর মোটরবাইক ফেলে একটি কালো কাঁচের গাড়ি নিয়ে পালায় তারা। সেই গাড়িটির খোঁজ চলছে। সেনা সূত্রের খবর, গাড়িটির খোঁজে আকাশে চষে বেড়াচ্ছে হেলিকপ্টারও। যে দুই যুবকের থেকে জঙ্গিরা মোটরবাইক নিয়ে পালিয়েছিল, তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, জঙ্গিদের হাতে এ কে ৪৭ রাইফেল ছিল। কাশ্মীরি নয়, ঊর্দু ভাষায় কথা বলছিল তারা।
হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর মুখপাত্র স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের অফিসে ফোন করে সোমবারের এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বলেও খবর। কাশ্মীর পুলিশ এর সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছে। তবে সেনাবাহিনীর সন্দেহ, এর পিছনে হাত রয়েছে লস্কর-ই-তইবার।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এই জঙ্গি হানার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, জঙ্গিরা এই ধরনের আক্রমণ করে রাজ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সেনাবাহিনী কখনওই সেই উদ্দেশ্য সফল হতে দেবে না। প্রসঙ্গত, দিন দু’য়েক আগেই শ্রীনগর শহরেই দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। |
|
|
|
|
|