সোনা আমদানি কমানোর ক্ষেত্রে অন্তত একটা জায়গায় কেন্দ্রের সঙ্গে গলা মেলালেন গয়না ব্যবসায়ীরা। অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশন ফের তাদের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে, সোনার কয়েন, বার বা বিস্কুট কেনাবেচা থেকে হাত গুটিয়ে নিতে। লক্ষ্য, শুধুমাত্র লগ্নির উদ্দেশ্যে সোনা আমদানি কমানো।
অবশ্য একই সঙ্গে তাদের উদ্বেগ, সোনা আমদানিতে কেন্দ্র রাশ টানায় গয়না তৈরির কাঁচামালের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম না-বাড়লেও ভারতে গয়নার দাম বাড়তে পারে। সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শের আকারে একগুচ্ছ প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছে ফেডারেশন। এ দিকে, সরকারি ভাবে আমদানি কমায় চোরাপথে সোনা আসার পরিমাণ দেশে দ্রুত বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ স্বণর্র্ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে-র। |
এ বার গয়না কি আরও মহার্ঘ? |
সরকার গত ১৮ মাসের মধ্যে সোনার আমদানি শুল্ক ১% থেকে বাড়িয়ে ৮% করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই গয়না ব্যবসায়ীদের ওই সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোনার কয়েন, বার বা বিস্কুট কেনাবেচা না-করার। এই নির্দেশ এত দিন পশ্চিমবঙ্গের গয়না ব্যবসায়ীরাই বেশি মেনে চলছিলেন। সারা দেশেই তা কার্যকর করার জন্য এ দিন ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।
শুল্ক বাড়ানো ছাড়াও অবশ্য ব্যাঙ্ক, এসটিসি, এমএমটিসি-সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে সোনা আমদানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে গয়না রফতানির জন্য সোনা আমদানি করলে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
বাজারে জোগান বাড়াতে ইটিএফ ফান্ডগুলিকে তাদের গচ্ছিত সোনা থেকে ব্যাঙ্ককে ধার দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ফেডারেশন। তাদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাছরাজ বামালুয়া বলেন, “এটা হলে দেশে অব্যবহৃত সোনার অন্তত একটা অংশ কাজে লাগবে। কারণ, ব্যাঙ্ক থেকে আবার গয়না ব্যবসায়ীরা ওই সোনা ধার নিতে পারবেন। কিছুটা মিটবে কাঁচামালের সঙ্কট।” ব্যবসায়ীদের আরও দাবি, “শুধু লগ্নির জন্য সোনা কেনা বন্ধের ব্যবস্থা করুক সরকার। এতেই সোনা আমদানি প্রায় ৩০% কমবে। লগ্নির জন্য আমদানি করা সোনা দিয়ে কর্মসংস্থান হয় না। কিন্তু গয়না শিল্পে দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ জড়িত।” |
অলকেমিস্ট ইনফ্রা নিয়ে শুনানি আজ
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
মঙ্গলবার সেবি-র বিরুদ্ধে অলকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়্যালটির আবেদন শুনবে বাজার নিয়ন্ত্রকের আপিল আদালত (স্যাট)। সম্প্রতি নিয়ম ভেঙে আমানত সংগ্রহের অভিযোগে সংস্থাকে বাজারে লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলেছে সেবি। নির্দেশ দিয়েছে অবিলম্বে অর্থ সংগ্রহ বন্ধ করে সংগৃহীত টাকা ফেরত দিতেও। সংস্থার দাবি, তাদের কোনও যোগাযোগ নেই অলকেমিস্ট গোষ্ঠীর সঙ্গে। |