সালে তাঁর গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর মামলায় ধাক্কা খেলেন সলমন খান। আজ মুম্বইয়ের দায়রা আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সলমনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা চালানোর প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে। ফলে, এই মামলায় নতুন ভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সলমনের টয়োটা ল্যান্ডক্রুজারের ধাক্কায় বান্দ্রার এক বেকারির সামনে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। আহত হন আরও চার জন। আগে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অবহেলার ফলে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে বিচার হয়েছে সলমনের। তাতে শাস্তির মাত্রা অনেক কম। কিন্তু, সরকারপক্ষের বক্তব্য শোনার পরে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত সলমনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে আর্জি জানান সলমনের আইনজীবীরা। সেই আর্জিরই শুনানি ছিল আজ। সওয়ালের সময়ে সলমনের কৌঁসুলি অশোক মুন্ডারগি বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি বুঝতে ভুল করেছেন।” তাঁর মতে, সলমন কাউকে ইচ্ছাকৃত ভাবে খুন করতে চাননি। দ্রুত গাড়ি চালানোয় যে কারও মৃত্যু হতে পারে তাও তিনি জানতেন না।
সরকারি কৌঁসুলি শঙ্কর এরান্ডে জানান, তখন সলমনের দেহরক্ষী ছিলেন প্রয়াত পুলিশ কনস্টেবল রবীন্দ্র পাটিল। পাটিল আদালতে জানান, সলমনকে জোরে গাড়ি চালাতে নিষেধ করেছিলেন তিনি। সে কথা সলমন শোনেননি।
এরান্ডে জানান, সে রাতে সলমন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁর রক্ত পরীক্ষা করেই সে কথা জানা গিয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় দ্রুত গাড়ি চালালে যে দুর্ঘটনা হতে পারে তা তাঁর অজানা নয়। তার উপরে তিনি বান্দ্রার কাছেই থাকেন। তাই ফুটপাথে যে অনেকে শুয়ে থাকেন তা তিনি জানতেন।
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে সলমনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন দায়রা বিচারক ইউ বি হেজিব। ১৯ জুলাই এই মামলা শুরু হবে। |