একেই রাস্তার অবস্থা বেহাল। তার উপর নিকাশিরও কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই বাড়ির নোংরা জল রাস্তার উপর দিয়েই বইছে জামুড়িয়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গড়াইপাড়া ও তেলিপাড়া এলাকায়। প্রতিকারের আবেদন জানিয়ে এডিডিএ-র চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সঙ্গে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ও জামুড়িয়া যাওয়ার সংযোগস্থলে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। তা মেরামতির দাবি জানানো হয়েছে।
গড়াইপাড়ার বাসিন্দা বলাই গড়াই এবং তেলিপাড়ার বাসিন্দা গোপাল মাজিরা জানান, দু’দশকেরও বেশি সময় আগে তৎকালীন পঞ্চায়েত থেকে মাটির রাস্তায় তৎকালীন পঞ্চায়েত থেকে একবার মোরাম ফেলা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে পঞ্চায়েত এলাকা পুরসভা এলাকার অন্তর্গত হয়ে যায়। তারপর থেকে আর রাস্তার দিকে ফিরেও তাকায়নি পুর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে উধাও হয়েছে রাস্তার মোরাম। ফিরে এসেছে পুরনো মাটির রাস্তা। কোনও নর্দমা না থাকায় রাস্তার উপর দিয়ে বইছে বাড়ির জল। বর্ষাকালে জল জমায় সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটা দুর্বিষহ।
|
চাঁদা থেকে জামুড়িয়া যাওয়ার রাস্তার বেহাল নিকাশি। —নিজস্ব চিত্র। |
পুরসভা আবর্জনা সাফাই না করায় এলাকায় লেগেই আছে জলবাহিত রোগ। বাসিন্দাদের বক্তব্য, বহুবার প্রতিকারের আবেদন জানানো হয়েছে। কোনও প্রতিকার মেলেনি। চাঁদা থেকে জামুড়িয়া অবধি ট্রেকার চালান মোবারক মিঞা। তিনি জানান, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে জামুড়িয়া যাওয়ার রাস্তার মোড়টিও ভেঙেচুরে একাকার। যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই রাস্তায় গাড়ি উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
পুরপ্রধান ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় বাসিন্দা অশোক পাল জানান, পুরসভা কোনও কাজ না করায় এডিডিএ-র চেয়ারম্যানের কাছে এই সমস্যা প্রতিকারের জন্য গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে। পুরপ্রধানকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই দু’টি পাড়া এবং ওই সংযোগ স্থলে উন্নয়নের দাবি জানানো হয়েছিল। প্রতিকারের আশ্বাস দিলেও কোনও ফল মেলেনি। পুরপ্রধান ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই দুই পাড়ায় কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের পরেই কাজ হবে। |