কংগ্রেস হইতে সাবধান, নীতীশকে বার্তা রাজনাথের
বিজেপির কর্মিসভায় পোস্টার। দু’টি ছবিতে সুপারইম্পোজ করা দুই নেতার মুখের আদল। এক পাশে নরেন্দ্র মোদী নামক বাঘ গরগর করছে। পাশে লেখা ‘নমো নমো কি আঁধি’। অন্য পাশে নীতীশ কুমার নামক বেড়াল। নীচে লেখা ‘সনিয়া, বাঁচাও।’ ওই পোস্টারেই স্পষ্ট বিজেপি কর্মিসভার সুর নীতীশ যতই কংগ্রেসের কাছাকাছি যাবেন, বিজেপির হুঙ্কার ততই বাড়বে।
আজ পটনায় বক্তৃতাতেও তা বুঝিয়ে দিলেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ। নাম না-করে নীতীশকে তাঁর পরামর্শ, “পুরনো বন্ধু ছিলেন, তাই পরামর্শ দিচ্ছি, কংগ্রেস থেকে সাবধান। কংগ্রেসের কাছাকাছি যারাই গিয়েছে, তারাই শেষ হয়েছে।” বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে জেডিইউ বিপদে এমনই দাবি রাজনাথের। বলেন, “বিজেপি পদ্মফুল। পদ্মের পাতায় জল মুক্তোর মতো মনে হয়। কিন্তু সেই জল পাতা থেকে বাইরে পড়লেই কোনও জৌলুস থাকে না।”
পটনায় বিজেপি কর্মিসভায় সুশীল মোদীর সঙ্গে রাজনাথ সিংহ। রবিবার অশোক সিন্হার তোলা ছবি।
বিজেপি-জেডিইউয়ের জোট ভাঙার পর এ দিনই ছিল রাজনাথের প্রথম পটনা সফর। কর্মিসভায় তাই প্রথম থেকেই বিজেপির সাংগঠনিক পরিকল্পনার চেয়েও বেশি আলোচনা হয় জোট ভাঙা নিয়ে। প্রায় সব নেতাই নীতীশের সমালোচনা করেন। রাজনাথের বক্তৃতায় কংগ্রেস-বিরোধী বক্তব্য থাকলেও বেশির ভাগটা জুড়েই ছিল জেডিইউ। বিজেপি সভাপতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের পদত্যাগ করতে বললে কি আমরা ‘না’ করতাম? কিন্তু তিনি আমাদের মন্ত্রীদের বরখাস্ত করলেন। এটা কী রকম শিষ্টাচার!”
নীতীশ জোট ভাঙার পরেও বিজেপি বেশ কিছু দিন আক্রমণাত্মক ছিল না। এমনকী, আস্থা ভোটে বিরত থেকে তারা নরম মনোভাবের বার্তাই দিতে চেয়েছিল নীতীশকে। কিন্তু নীতীশ কোনও অবস্থাতেই নরম হননি বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।
বস্তুত, আজকের জনসভা মিলার স্কুলের মাঠে করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন সেখানে বিজেপি-কে সভা করার অনুমতি না দিয়ে সঞ্জয় গাঁধী স্টেডিয়ামে সভার অনুমতি দেয়। আজ রাজনাথও পটনা বিমানবন্দরে ভিআইপি-দের জন্য নির্দিষ্ট ‘স্টেট হ্যাঙ্গার’ দিয়ে বেরোনোর অনুমতি পাননি। সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গেই বিমানবন্দর থেকে বার হন তিনি।
সভায় রাজনাথ বলেন, “২০০২ থেকে ২০১২ পর্যন্ত নীতীশ এনডিএ-তে ছিলেন। তখন মোদীকে নিয়ে ওঁর কিছু মনে হয়নি। আমরা মোদীকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রচারের দায়িত্ব দেওয়ার পরেই তাঁর এত আপত্তি। বিভিন্ন দেশে গুজরাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সবাই মোদীর প্রশংসা করছে। এমন এক জন মুখ্যমন্ত্রীকে সারা দেশের প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া কি অপরাধ?”
সুশীলকুমার মোদীদের দাবি, জোট ভেঙে বিহারের মানুষকে অপমান করেছেন নীতীশ। রাজ্য বিজেপির সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে জানিয়েছেন, ২ জুলাই থেকে জেলাস্তরে জোট ভাঙার প্রতিবাদে সভা করবে বিজেপি। তার পর ২৫ জুলাই থেকে গ্রামে গ্রামে নীতীশের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে প্রচার করবে তাঁর দল। এই প্রচার শুরু হবে নীতীশের দুর্গ নালন্দা থেকেই।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.