|
|
|
|
দলের সঙ্গে মোদী জুড়তে চান শরিকদের দিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
তিনি চান দল (রাজনৈতিক দল) ও ‘দিল’ (হৃদয়) জুড়তে। বিজেপির নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের প্রথম জনসভায় বললেন নরেন্দ্র মোদী।
লালকৃষ্ণ আডবাণী-নীতীশ কুমারদের বিরোধিতার কথা মাথায় রেখে শুধু বিজেপি নয়, এনডিএ-রও মুখ হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছেন মোদী। শরিকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে আজ তিনি মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন পঞ্জাবের পাঠানকোটের কাছে জম্মু-কাশ্মীর সীমানাবর্তী মাধোপুরকে। বেছে নিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলিদান দিবসকে। এই সীমানা দিয়েই (তখন সীমান্ত) পারমিট ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। প্রয়াত
|
ছবি: এএফপি |
নেতাকে সামনে রেখেই মোদী সুকৌশলে উস্কে দিলেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ। এ দিনেই ব্লগ লিখে ৩৭০ ধারার বিলোপের দাবি তুললেন আডবাণী। সংবিধানের এই ধারাই জম্মু-কাশ্মীরকে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে।
আজ শ্যামাপ্রসাদের ‘দো প্রধান নেহি চলেগা’ স্লোগানের রেশ টেনে মোদী বিঁধেছেন সনিয়া গাঁধী ও মনমোহন সিংহকে। বলেছেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দুই প্রধান বিলোপ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু দিল্লিতে বোঝাই যায় না, আসল প্রধান কে। দিল্লির দুই প্রধান যে দেশ চালাচ্ছেন, তাঁদের থেকেও মুক্তি পেতে হবে আমাদের।” ১৯৫২ সালে ৩৫ জন সাংসদকে নিয়ে শ্যামাপ্রসাদের কংগ্রেস-বিরোধী মোর্চা গঠনের উল্লেখ করে মোদী বলেন, “শ্যামাপ্রসাদের বলিদান যেন বিফল না যায়। আমরা দল ও দিল জোড়ার লোক। সকলকে
নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।” আজকের সভার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা মোদীর শরিক টানার প্রয়াস। সভায় বিজেপির শরিক নেতা প্রকাশ সিংহ বাদল উপস্থিত ছিলেন। মোদী বলেন, “যখন দলের হয়ে এই রাজ্যের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছি, তখন বাদল সাহেব আমাকে কাজ শিখিয়েছেন। পার্শ্ববর্তী হরিয়ানায় দেবীলাল, বংশীলালের পরিবারের সঙ্গেও কাজ করেছি। ফারুক আবদুল্লা তখন এনডিএ-তে ছিলেন। তাঁর থেকেও কাজ শিখেছি।” কৌশলে এ ভাবে উত্তর ভারতের ৩টি রাজ্যের নেতাদের মন জয়ের চেষ্টা করেন মোদী।
বর্তমান ও প্রাক্তন শরিকদের মন জয়ে মোদীর উদ্যোগ অর্থবহ। কারণ, আডবাণী-নীতীশরা মনে করেন, মোদীকে তুলে ধরলে বিজেপির কিছু আসন বাড়তে পারে বটে, কিন্তু সরকার গড়ার জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। দরকার আরও শরিকের সমর্থন। দু’দিন আগেও দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে আডবাণী মনে করিয়ে দেন, শ্যামাপ্রসাদের কংগ্রেস-বিরোধী মোর্চা আজও প্রাসঙ্গিক।
যে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে সামনে রেখে আডবাণীর মতো নেতা মোদীর বিরোধিতা করছেন, আজ সেই জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতার কথা বলেই তাঁর প্রথম জনসভায় এনডিএ-র প্রসারে উদ্যোগী হলেন মোদী। মোদী শিবিরের এক নেতার মতে, “লোকসভা নির্বাচনে মোদী বিজেপিকে দু’শোর কাছাকাছি আসন এনে দিতে পারলে শরিকরা এমনিতেই দলের সঙ্গে আসবে। নীতীশ সরে গেলেও দক্ষিণে জয়ললিতা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে রেখেছেন। ইয়েদুরাপ্পাও মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুলে বিজেপিতে ফিরে আসতে চাইছেন। নির্বাচনের পরেও আরও অনেক দল সঙ্গী হবে। এই মুহূর্তে সঙ্ঘ পরিবার অন্য কারও নাম ভাবছে না।”
তাই সভাপতি রাজনাথ সিংহও এখন মোদীর হয়ে আসরে নেমেছেন। আজ পটনায় রাজনাথ যেমন নীতীশকে আক্রমণ করেন, তেমনই জয়পুরের এক সভায় সংখ্যালঘুদের আহ্বান জানান গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার কথা ভুলে যাওয়ার জন্য। |
|
|
|
|
|