জামিনের আবেদন নাকচ করে পুর চেয়ারম্যান-সহ ধৃত তিন সিপিএম নেতাকে দু’দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত। সোমবার মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল বসাক, প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জোনাল সম্পাদক বলরাম ঘোষ, জেলা নেতা অচিন্ত্য চক্রবর্তীকে পুলিশি প্রহরায় বুনিয়াদপুর আদালতে আনা হয়। সেই সময় তৃণমূলের একদল কর্মী-সমর্থক আদালতের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
গত ১৬ জুন গঙ্গারামপুরে দলীয় পতাকা পোড়ানোর অভিযোগে তৃণমূল নেতা রতন ঘোষ অচিন্ত্যবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও অন্য দু’টি মামলায় অচিন্ত্যবাবু-সহ পুর চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানের জামিনের আবেদন নাকচ করেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী জনার্দনপ্রসাদ সিংহ জানান, তদন্তকারী অফিসার জানান, দমদমা সমবায়ের নির্বাচন ঘিরে রাস্তা অবরোধ, পুলিশের উপর হামলা, বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগের ঘটনায় তদন্তের জন্য পুলিশি হেফাজত প্রয়োজন। এই মামলায় বলরামবাবুর জবানবন্দি এ দিন তদন্তকারী অফিসার আদালতে পেশ না করায় শুনানি সোমবার ধার্য হয়েছে। সিপিএমের আইনজীবী সেলের জেলা সম্পাদক শিবতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মামলা দু’টির চার্জশিট পুলিশ আদালতে দাখিল করেছে। বলরামবাবুকে জেরা করা হয়নি। তিনি পুলিশকে কিছু বলেননি, তা এ দিন লিখিত ভাবে বলরামবাবু আদালতকে জানিয়েছেন।” গত শুক্রবার গঙ্গারামপুর পার্টি অফিস থেকে ওই তিন নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ দিন বিকেলে গঙ্গারামপুর হাইরোডে সিপিএমের অবস্থান-বিক্ষোভের জন্য তৈরি মঞ্চ পুলিশ ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। বালুরঘাটে দলের জেলা দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে দলের নেতা তথা প্রাক্তনমন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায় বলেন, “দলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পুলিশকে দিয়ে এ সব করানো হচ্ছে। নয় মাস আগে মামলা হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করাই তার প্রমাণ।” |