গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে রবিবার ডুয়ার্সে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে ডুয়ার্স-তরাই জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। শনিবার আদিবাসী বিকাশ পরিষদ, জনজাগরণ মালবাজার, বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও সমিতি, তরাই-ডুয়ার্স নাগরিক মঞ্চ, সিনিয়র সিটিজেনস ফোরাম, প্রোগ্রেসিভ পিপলস পার্টির নেতারা মালবাজারে বৈঠক করেন। কমিটির মুখপাত্র রাজেশ লাকড়া বলেন, “বিমল গুরুঙ্গ ২০১২-এর এপ্রিলে ডুয়ার্সে প্রচারে গেলে বিস্তীর্ণ এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এ বার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গুরুঙ্গ গেলে অশান্তির আশঙ্কা থাকায় বনধ ডাকা হয়েছে। আশা করি উনি পাহাড়ে ফিরে যাবেন।”
শুক্রবার গুরুঙ্গ ডুয়ার্সের জয়গাঁয় পৌঁছে তরাই ও ডুয়ার্সের মোর্চার ২৫০ জন প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করেন। মোর্চা সভাপতি বলেন, “প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তরাই-ডুয়ার্সের মৌজা জিটিএতে অন্তর্ভুক্তি-সহ উন্নয়নকে সামনে রেখে লড়ব।” বনধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা যে কোনও জায়গায় প্রচারে যেতে পারেন। এই নিয়ে পরিষদের কিছু বলার থাকতে পারে না।” তবে গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবি তোলা নিয়ে মোর্চা প্রধানকে কটাক্ষ করে রাজেশবাবু বলেন, “পাহাড়ে মোর্চা ছাড়া অন্য কোনও দল মিটিং-মিছিল করলে হামলা হয়। পাহাড়ে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বিঘ্নে মিটিং-মিছিল, প্রচারের সুযোগ দিলে ওঁর মুখে গণতন্ত্রের কথা মানাবে।” তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিকের মন্তব্য, “কেউ প্রচারে গেলে অশান্তি হবে, এই আশঙ্কা করে বনধ, ধমর্ঘট ডাকা হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।” তৃণমূলের সঙ্গে মোর্চার কোনও বিরোধ নেই বলে এ দিন দাবি করেন গুরুঙ্গ। তিনি বলেন, “তরাই ও ডুয়ার্সের যে সব আসনে প্রার্থী দিইনি, সেখানে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ও তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে।” |