চাঁচলের চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েতে শনিবার সন্ধেয় নির্বাচনী সভা শুরুর মুখেই সুর কাটল। পর পর বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। হুড়োহুড়িতে জমায়েত ভেঙে ছত্রখান। মঞ্চে তখন তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এবং পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী।
বিস্ফোরণের পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শনিবার সন্ধ্যায় ওই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে কংগ্রেস। শাসক দলের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের সভা ভেস্তে দিতেই ওই বিস্ফোরণ ঘটায় কংগ্রেস সমর্থকেরা। সাবিত্রী দেবী বলেন, “আমাদের সভা ভন্ডুল করেতই কংগ্রেস নেতা আবদুল হাইয়ের নেত়ত্বে ওই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। অল্পের জন্য সবাই বেঁচে গিয়েছি।” কৃষ্ণেন্দু বলেন, “দলের জেলা সভানেত্রী ভাষণ শুরু করতেই কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে।” তিনি জানান, সভা শুরুর আগেও এলাকায় বোমাবাজি হয়েছিল। কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা নিতেও বলেছিলেন তিনি। তার পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা কেন নেয়নি তা তিনি পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়েছেন মন্ত্রী। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিস্ফোরণের খবর পেয়েই এসডিপিওকে এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ করা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে ওই এলাকায় হানা গিয়ে পুলিশ প্রায় শ’খানেক বোমা উদ্ধার করেছিল। এলাকায় সমাজবিরোধীদেরও দৌরাত্ম্য রয়েছে।
কংগ্রেসের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ আবদুল হাই অবশ্য বলেন, “তৃণমূল সমর্থকেরা নিজেরাই বোমা ফাটিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছে।” |