কর্মিসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, ওই রাতে জামালপুর দক্ষিণ সংসদের সিপিএমের মহিলা প্রার্থী গোলেনুর বিবির বাড়িতেও তিনটি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। শনিবার ইটাহার ব্লকের জামালপুরের ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন গোলেনুর বিবির স্বামী-সহ দু’জন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অপূর্ব পাল বলেন, “হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুলিশ অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার না করলে আন্দোলনে নামা হবে।” অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “সিপিএমের দুষ্কৃতীদের নিজেদের মধ্যে গোলমালে ঘটনাটি ঘটেছে।” জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী জানান, দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
|
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে নেতা-কর্মীদের একজোট হয়ে লড়ার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। শনিবার কোচবিহারের ইন্ডোর স্টেডিয়াম চত্বর ও দিনহাটার নৃপেন্দ্রনারায়ণ স্মৃতি সদনে দু’টি কর্মিসভায় তিনি একথা জানান। সুব্রতবাবুর কথায়, “দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর চেষ্টা করুন। দল যাদের টিকিট দিতে পারেনি, তাঁরা অপমানিত, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত বা অসন্মানিত হবেন না। একসঙ্গে লড়াই করুন।” নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রসঙ্গে সুব্রত বক্সি বলেন, “ভোট হবেই। কেউ তা ঠেকাতে পারবে না।” তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক সম্পাদক উদয়ন গুহ সম্পর্কে সুব্রতবাবুর বক্তব্য, “রাজ্যে সুশাসন আছে বলেই উনি কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”
|
এক বিবাহিত মহিলাকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। মালদহের গাজলের মাজরা এলাকায় শুক্রবার রাতে ওই ঘটনার জেরে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ওই মহিলার সঙ্গে প্রতিবেশী ওই যুবকের মেলামেশা ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হওয়াতেই এখন বিষয়টা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়াচ্ছে। এ দিন রাতে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, খন্তা গ্রামের ওই মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে। শাশুড়ির সঙ্গে দুই বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে থাকেন ওই মহিলা। অভিযোগ, ওই দিন রাতে শাশুড়ি পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে প্রতিবেশী ওই যুবক মহিলাকে পাশের ধান খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
|
সিপিএম-তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১১ জন। শুক্রবার মাথাভাঙার ছাটখাটেরবাড়ির ঘটনা। আহতদের মধ্যে ৬ জন কোচবিহার জেলা ও মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানায়, দলের সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে দু’পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মাথাভাঙার তৃণমূল নেতা আলিজার রহমান বলেন, “আমাদের সমর্থকদের উপর সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। বাকিরা বাধা গিতে গেলে সংঘর্ষ হয়।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অরুণ চৌধুরী বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী প্রফুল্ল বর্মনের বাড়িতে তৃণমূল সমর্থকেরা হামলা চালায়। এলাকার বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।” জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত মালবাজার পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস প্রার্থী বাপ্পাই অধিকারি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর উপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে প্রচার সেরে একা বাড়ি ফিরছিলেন বাপ্পাই। সেই সময় মালবাজারের মৌলানি পঞ্চায়েতের ঝাড় মাটিয়ালি এলাকায় তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ধারাল কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
|
সিপিএম সমর্থক এক ঠিকাদারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের জিনিস। শনিবার ভোরে ময়নাগুড়ির উল্লাডাবরির তৃনমূল কর্মী-সমর্থকরা ওই ঠিকাদারের বাড়ি ঘেরাও করেন। প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে জিনিসগুলি বাজেয়াপ্ত করেন। তৃণমূলের ময়নাগুড়ি-২ ব্লক সভাপতি শশাঙ্ক বসুনীয়া বলেন, “জিনিসগুলি বিধায়ক তহবিলের। সেগুলি ভোটারদের বিলি করে প্রভাবিত করার ছক করা হয়।” সিপিএম নেতা বলেন, “ওই ব্যক্তি আগেও সেচের কাজ করেছেন। আর সেগুলি ভোটারদের দিয়ে কী লাভ!”
|
বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। শনিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের উত্তর পাটকাপাড়ার ঘটনা। মৃতের নাম বলাচাঁদ রায় (৬২)। মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়। |