স্কুলে ঢুকে শিক্ষাকর্মী এবং প্রধান শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি হাবরা থানার পুলিশ। দক্ষিণ নাংলা বালিকা বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর শীল। স্কুলে ভাঙচুর এবং প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর ও খুনের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
অমরবাবু বলেন, “ওই ঘটনার তদন্ত করব আমরা। প্রধান শিক্ষিকার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে। এ জন্য শীঘ্রই আমাদের একটি প্রতিনিধি দল ওই স্কুলে যাবে।”
কলকাতা হাইকোর্ট আগাম জামিন দিলেও একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই স্কুলের শিক্ষাকর্মী নৃপেন বিশ্বাস কাজে যোগ দিতে পারবেন না, এমনই দাবি তুলে বৃহস্পতিবার তাঁর উপরে চড়াও হয় জনতা। মারের চোটে স্কুলের মধ্যেই তিনি জ্ঞান হারান। ওই অবস্থাতেই তাঁকে টেনে রাস্তায় ফেলে আর একপ্রস্ত মারা হয়। ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মাথা। স্কুলের মধ্যে মার খান প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা ঘোষ পালও। তাঁর বিরুদ্ধে নৃপেনবাবুকে কাজে যোগ দিতে সাহায্য করার অভিযোগ তোলে জনতা। সঙ্কটজনক অবস্থায় নৃপেনবাবু বর্তমানে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে ওই স্কুলের শিক্ষিকারা অমরবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। ঘটনার কথা জানান। ছাত্রীরা না আসায় এ দিনও স্কুলে পঠনপাঠন হয়নি। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকার ভূমিকা কেন খতিয়ে দেখা হবে, তা জানাতে গিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, “দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মীকে স্কুলের কাজে যোগ দেওয়ানোর আগে স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল প্রধান শিক্ষিকার। কিন্তু তিনি তা করেননি।” যদিও নৃপেনবাবুর স্কুলে যোগ দেওয়ার কথা প্রধআন শিক্ষিকা তাঁকে আগে জানিয়েছিলেন এবং আজ, শনিবার এ নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন সম্পাদক জাফর আলি।
তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ দিন স্কুলের শিক্ষিকারা হাবরা থানার আইসি অনিল রায়ের সঙ্গেও দেখা করেন। ওই স্কুলের পাশেই দক্ষিণ নাংলা কে ইউ ইনস্টিটিউশন। সেখানকার প্রধান শিক্ষক কিশলয়কুমার পাল নিবেদিতাদেবীর স্বামী। এ দিন তিনি স্ত্রীর স্কুলে ভাঙচুর এবং তাঁকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।
|