পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বসিরহাট মহকুমায় সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে তিনটি ঘটনায় জখম হয়েছেন এগারো জন। এঁদের মধ্যে একজনের মাথা ইট মেরে থেঁতলে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসনাবাদের চিমটা ভবানীপুরে একটি ইটভাটায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে সভা করা নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সময় সেখানে ছিলেন ভোলা রুইদাস নামে এক তৃণমূল কর্মী। যদিও তিনি সেখানে গিয়েছিলেন ভাটা মালিকের কাছে মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা চাইতে। কিন্তু সংঘর্ষের মধ্যে হঠাৎই এক প্রতিবেশীকে মার খেতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান ভোলা। মারামারির মধ্যে পনে যায় তিনি। মেরে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুরেশ মণ্ডল বলেন, “ইটভাটায় বিতর্কিত জমিতে আমাদের সভার অনুমতি না দিয়ে সিপিএমকে সভা করতে দিলে প্রতিবাদ জানান আমাদের দলীয় কর্মী সফিকুল মণ্ডল। তাতে খেপে গিয়ে সিপিএমের লোকেরা আমাদের কর্মীদের মারধর করে। সফিকুল এবং ভোলা-সহ গুরুতর আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” |
তিনি জানান, মেয়ের বিয়ের জন্য ভাটা মালিকের কাছে টাকা চাইতে গিয়ে অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করায় ওঁর এই অবস্থা। ওঁর মেয়ের বিয়ের জন্য তাঁরাই টাকার ব্যবস্থা করবেন।
পাল্টা সিপিএম নেতা শক্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের হামলায় আমাদেরও কয়েকজনকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।”
আর হাসপাতালে শুয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় ভোলা বলেন, “মাথার যন্ত্রণা থেকে যে যন্ত্রণা আরও ভোগাচ্ছে তা মেয়ের বিয়ের জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে না পারা। আগামী বুধবার বিয়ে। এই অবস্থায় কী হবে কে জানে?”
অন্যদিকে এ দিনই সকালে স্বরূপনগরের বয়ারঘাটা গ্রামে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, সংঘর্ষে তাদের তিনজন কর্মী জখম হয়েছেন। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের আক্রমণে তাদেরও তিনজন কর্মী জখম হয়েছেন। বসিরহাটের কচুয়া গ্রামেও দু’দলের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের পাঁচজন জখম হয়েছেন। |