দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা
হাঁসফাঁস
বাজারের জটে
বেহালার ব্রাহ্মসমাজ রোড এবং কাজিপাড়া রোডের মোড়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। কারণ, রাস্তার পাশে বাজার বসে। এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের। কলকাতা পুরসভা সমস্যার কথা স্বীকারও করেছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন কোনও সুরাহা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ষাটের দশক থেকে ব্রাহ্মসমাজ রোড এবং কাজিপাড়া রোডের মোড়ে এই বাজার বসতে শুরু করে। বাজারটি এলাকায় বেহালা ছোট বাজার নামে পরিচিত। বাসিন্দা তাপস মজুমদারের কথায়: “৪০ বছরেরও বেশি এ ভাবে রাস্তার উপরে বাজার বসছে। বছর দশেক হল পুরসভার উদ্যোগে বাজারের মাছের দোকানগুলি এবং কয়েকটি সব্জির দোকান পাশেই একটি বহুতলের নীচে সরানো হয়। কিন্তু বাকি বাজার এখনও রাস্তার উপরেই বসে। তাই যানজট লেগেই থাকে।”
বাসিন্দারা জানান, সকালে বাজারের সামনে যানজটে এক বার কোনও গাড়ি আটকালে ডায়মন্ড হারবার রোডে পৌঁছতে ২০ মিনিটেরও বেশি লেগে যায়। অথচ এমনি সময়ে তিন-চার মিনিটের বেশি লাগে না। স্কুল পড়ুয়ারা নিত্য সমস্যায় পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেহালা ছোট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য বলেন, “আমরাও এই সমস্যার সুরাহা চাই। স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে সমিতির তরফ থেকে আবেদনও জানান হয়েছে।”
ব্রাহ্মসমাজ রোড , কাজিপাড়া রোড এবং ইসলামিয়া মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এই এলাকার রাস্তাগুলি অত্যন্ত সরু। সেই সরু রাস্তার পাশেই কোথাও বাজার বসছে। কোথাও আবার ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখা হচ্ছে। দিনে সরু রাস্তায় বড় লরি ঢুকে পড়ে। তখন যান চলাচলে খুব অসুবিধে হয়।
এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১২৯ এবং ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। ১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের সংহিতা দাস বলেন, ‘‘ছোট বাজারের ব্যবসায়ীরাও সুরাহা চেয়ে আবেদন করেছেন। প্রথমে রাস্তা চওড়া করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার পরে বাজার নিয়ে ভাবা হবে।” ১৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের কথায়: “মোড়ের থেকে বাজারের কিছুটা অংশ এলাকার ভিতরে নিয়ে আসার কথাও ভাবা হচ্ছে।”
১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের মানিক চট্টোপাধ্যায় বলেন,“সমস্যা দীর্ঘ দিনের। সুরাহার জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাস্তবায়িত হতে সময় লাগবে।” মেয়র পারিষদ রাস্তা সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “দীর্ঘ দিনের সমস্যা। আমার ইতিমধ্যেই সমীক্ষার কাজ শুরু করেছি। ব্যবসায়ীদের কোনও ক্ষতি না করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ছবি: অরুণ লোধ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.