|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
ডায়মন্ড হারবার রোড |
দুর্ভোগ-সরণি
দেবাশিস দাস |
এখনও ভারী বর্ষণ হয়নি। কিন্তু কয়েক পশলা বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ডায়মন্ড হারবার রোড। বেহালার বাসিন্দারা যাতায়াতের জন্য এই রাস্তার উপরে নির্ভরশীল। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষায় রাস্তাটির ভয়ানক অবস্থা হয়। ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বিভিন্ন মহলে একাধিক বার আবেদন জানিয়েও এই সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, ডায়মন্ড হারবার রোডের দু’পাশের নিকাশি রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তার মাঝে চলছে মেট্রো প্রকল্পের কাজ। ফলে দু’-এক পশলা বৃষ্টি হলেই নানা জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। পথচারীদের চলাচলের উপায় থাকে না। মাঝারি বৃষ্টিতেই অশোকা থেকে জোকা পর্যন্ত রাস্তার বিভিন্ন অংশে জল জমে যায়।
|
|
জল নামতে অনেক সময় লাগে। রাস্তার নানা অংশে বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দা ঈশান চক্রবর্তীর কথায়: “একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। আধ ঘণ্টার পথ যেতে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। অবস্থা এমন হয় যে বাড়ি ফেরাই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। বেশি খরচ করেও দুর্ভোগ এড়ানো যায় না।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মেট্রো প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার রোডের হাল ফেরার আশা নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেট্রো প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে। তাঁদের আশঙ্কা, যত দিন যাবে
অবস্থা আরও খারাপ হবে। ডায়মন্ড হারবার রোড পথচারীদের কাছে কার্যত মরণফাঁদ
হয়ে উঠবে। |
|
রাস্তার দায় নিয়ে প্রশাসনিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার রোডের দেখভালের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের সাউথ সাবার্বান বিভাগের। এই বিভাগের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার বিষ্ণু বক্সীর কথায়: “ওই রাস্তায় শুধু দু’টি উড়ালপুলের দায়িত্ব এখন আমাদের রয়েছে। বাকি অংশের দায়িত্ব এখন মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। তাঁরা প্রকল্পের কাজ শেষ করে, রাস্তা সারাই করে আমাদের হস্তান্তর করলে আমরা আবার দায়িত্ব নেব। মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের এ কথাই হয়েছে।” রাজ্য পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার রোডের হাল ফেরাতে যে টাকা ব্যয় হবে তার খরচও প্রস্তাবিত মেট্রো রেল প্রকল্পের বাজেটে ধরা আছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, যে সব অঞ্চলে প্রকল্পের কাজ চলছে সেই এলাকার রাস্তার হাল খারাপ হয়ে রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। মেট্রো রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষের কথায়: “মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে এই ধরনের কোনও প্রতিশ্রুতি রাজ্য পূর্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছিল কি না তা নিয়ে সবিস্তার খোঁজ নিতে হবে।” |
ছবি: অরুণ লোধ |
|
|
|
|
|