দক্ষিণ কলকাতা
উড়ালপুল
অবশেষে উদ্যোগ
কেটে গিয়েছে চার বছর। এখনও শুরু হল না যাদবপুর থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের মুখ পর্যন্ত প্রস্তাবিত উড়ালপুলের কাজ।
বছর চারেক আগে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এই উড়ালপুল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। নির্মাণের দায়িত্ব ছিল কেএমডিএ-র। কিন্তু অর্থ না মেলায় কাজ শুরু হয়নি। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এই প্রকল্পটিকে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম)-এর অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে বড় বাসস্ট্যান্ড। সামনেই চার মাথার মোড়। সারা দিনই সেখানে যানজট হয়। অবস্থা এমন হয় যে পথচারীরা কার্যত রাস্তা পার হতে পারেন না। অন্য প্রান্তে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে একটি শপিং মল তৈরির পরে এই রাস্তায় যান চলাচল অনেক বেড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা জানান, অফিসের সময়ে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড থেকে গাড়ির লাইন যাদবপুর থানা পর্যন্ত চলে আসে। ছুটির দিনে সমস্যা আরও বাড়ে। ফলে, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাসিন্দারা ছাড়াও যোধপুর পার্ক, লেক গার্ডেন্স ও পোদ্দারনগর অঞ্চলের বাসিন্দারাও সমস্যায় পড়েন। যোধপুর পার্কের বাসিন্দা কমল মজুমদারের কথায়: “এমনিতেই যোধপুর পার্কের মোড় থেকে আনোয়ার শাহ মোড় পর্যন্ত যেতে প্রায় আধ ঘণ্টা লাগে। ছুটির দিনে তো কথাই নেই! উড়ালপুল খুব দরকার।”
রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল রাজ্য সরকার খরচের একাংশ বহন করবে। বাকি অর্থ একটি বাণিজ্যিক সংস্থা দেবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পরে বেশ কিছু দিন প্রকল্পটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “উড়ালপুলটি তৈরি হবে। প্রকল্পটিকে জেএনএনইউআরএম-২ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করলেই কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার প্রয়োজন।”
১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, “যাদবপুর ৮বি-র মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকায় যানজটের সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত। যাদবপুর এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে গজিয়ে ওঠা কিছু বেআইনি দোকান ভেঙে রাস্তা চওড়া করা হয়েছে। তবে সমস্যা মেটেনি। আনোয়ার শাহ রোডে যান চলাচল বেড়ে যাওয়ায় এই অঞ্চলে একটি উড়ালপুলের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। ”
কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক দিলীপ আদক বলেন, “আনোয়ার শাহ রোড এবং যাদবপুর ৮-বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে ট্রাফিক খুব বেশি। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে উড়ালপুলের ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না।”
পুরমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার কোনও বাণিজ্যিক বা বেসরকারি সংস্থা থেকে অর্থ নিয়ে প্রকল্প নির্মাণে অনিচ্ছুক। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য প্রয়োজন। এই অর্থ পেতে কিছু সময় লাগবে।

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.