বছর দু’য়েক আগে এলাকার এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং জোর করে বিয়ের ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রিষড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর, অভিযুক্ত জাহিদ হাসান খান শ্রীরামপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তবে তিনি জামিন পাননি। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, জাহিদ পলাতক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের ১৩ জুন বছর সতেরোর ওই নাবালিকাকে রিষড়ার পিসিদা বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ এবং জোর করে বিয়ের অভিযোগ ওঠে মহম্মদ সাদ্দাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় নাবালিকার বাবা সাদ্দাম ছাড়াও আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে মদত দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই তালিকায় রয়েছেন জাহিদ। পরে একটি বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধরা হয় সাদ্দামকে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট জাহিদের আগাম জামিনের আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণে মদত, অপহরণ, নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়া-সহ ছ’টি ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তেরা এখনও অধরা।
এ দিন আদালত চত্বরে জাহিদ অবশ্য দাবি করেন, “আমি নির্দোষ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দলেরই কেউ আমাকে ফাঁসিয়েছে।” তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত অবশ্য বলেন, “ওই ঘটনায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। পুরোপুরি আইনের ব্যাপার। আমার এ নিয়ে কিছু বলার নেই।” তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের অবশ্য দাবি, জাহিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দু’পক্ষের গোলমাল মেটাতে গিয়েছিলেন।
সে দিনের নাবালিকা এখন যুবতী। বাবার কাছেই থাকেন। এ দিন জাহিদের আত্মসমর্পণের কথা শুনে তিনি বলেন, “স্বস্তি পেলাম। আমি ওর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই। যাতে এ ধরনের লোকেরা আর কোনও মেয়ের ক্ষতি করতে না পারে।”
|