‘জোর করে’ তরুণীর বিয়েতে নাম জড়িয়ে গেল কাউন্সিলরের |
বিহার থেকে এক তরুণীকে ‘তুলে এনে’ তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে রিষড়ার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছু দিন আগে। গ্রেফতারও করা হয় রিষড়ার বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দাম নামে ওই যুবককে।
ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে রিষড়ার এক প্রভাবশালী তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম। জাদিহ হাসান খান নামে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের মদতেই তরুণীর উপরে জোর খাটানো হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ মাসখানেক আগে শ্রীরামপুর আদালতে যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে নাম আছে জাহিদেরও। তারপরেও পুলিশ কেন তাঁর বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নিল না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। দিন কয়েক আগে চুঁচুড়া আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন জাহিদ। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুলিশ ঠিক সময়ে ঠিক কাজটাই করবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, “এ ধরনের ঘটনায় দলের কারও নাম জড়ানো নিশ্চয়ই ভাল নয়। বিস্তারিত জানতে আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলব।”
এর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, তাঁকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে এনে আটকে রেখে ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ওই তৃণমূল নেতা ৬ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত সাদ্দামকে বেআইনি কাজে সাহায্য করেন। হুমকিও দেন তরুণীর পরিবারকে।
বাবা-মার সাহায্যে পরে ওই তরুণী রিষড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, তরুণী তাঁর বয়ান মাঝে মধ্যেই পরিবর্তন করেছেন। যে কারণে তদন্তে সমস্যা হয়েছে। পুলিশের আরও প্রশ্ন, বিহার থেকে তুলে আনা হলেও সেখানকার থানায় কেন অভিযোগ দায়ের করলেন না তরুণীর পরিবারের লোকজন? |