পঞ্চায়েত উদ্যোগী না হওয়ায় |
খাল সংস্কারে নামল চাষিরাই |
প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও লাভ না হওয়ায় খাল সংস্কারে উদ্যোগী হল স্থানীয় চাষিরা। ঘটনাটি ঘটেছে জগৎবল্লভপুর ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতে। গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া খাল সংস্কার চলে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠের মধ্যে যে সরু খাল থাকে তাকে গ্রামীণ ভাষায় ‘ন্যাচা খাল’ বলা হয়। গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও রয়েছে এ রকম একটি খাল রয়েছে। খালটি গ্রামের পাশে অবস্থিত কান্দুয়া খাল নামে একটি বড় খালের সঙ্গে সংযুক্ত। এই ন্যাচা খালটি কচুরিপানা-সহ বিভিন্ন আবজর্নায় ভর্তি হয়ে যাওয়ায় চাষের কাছে জল পেতে সমস্যা হচ্ছে। |
আপনা হাত জগন্নাথ। —নিজস্ব চিত্র। |
চাষিদের দাবি, তাঁরা বিভিন্ন সময়ে এই খাল সংস্কারের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতে আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। চাষিদের আশঙ্কা, অবিলম্বে এই খাল সংস্কার না করতে পারলে বোরো ধান চাষে সমস্যা সৃষ্টি হবে। তাই প্রশাসনের উপর ভরসা না রেখে নিজেরাই ওই খাল সংস্কারে উদ্যোগী হলেন চাষিরা।
সমস্যার কথা স্বীকার করে গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সুখেন্দু দাস বলেন, “খাল সংস্কারের জন্য আবেদন পেয়েছি। কিন্তু এই বছর তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় আমরা খাল সংস্কারের কাজ করতে বলেছি।” তাঁর দাবি, “প্রতি বছর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খাল সংস্কারের কাজ করা হয়। এ বছরের সমস্যার কথা আমি বিডিওকে জানিয়েছি।” যদিও স্থানীয় গ্রামবাসীদের পাল্টা দাবি, দীর্ঘদিন ওই খাল ঠিকমত সংস্কার হয়নি। জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নাদুচরণ বাগ বলেন, “ওই খাল সংস্কারের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আবেদনপত্র পাইনি। পেলে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। জগৎবল্লভপুরের বিডিও সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, “মাঝে ছুটি ছিল। হয়ত সেই কারণেই এখনও খাল সংস্কারের জন্য কোনও আবেদন পত্র আমি পাইনি। পেলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” |