দ্বিতীয় বর্ষে জমজমাট বলাগড় বইমেলা |
দুপুর থেকে সন্ধ্যা। ঠান্ডা উপেক্ষা করেই ভিড় উপচে পড়ল বইয়ের স্টলে। সাংস্কৃতিক মঞ্চে জোয়ার বইল লোক-সংস্কৃতির। স্মরণ করা হল মনীষী থেকে প্রয়াত কবি-সাহিত্যিকদের। দ্বিতীয় বর্ষে জমজমাট ‘বলাগড় বইমেলা’। জিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সাত দিনের গ্রামীণ এই বইমেলা শেষ হল রবিবার।
এ বার মেলার থিম ছিল ‘বিহার’। মোট ৮৭টি স্টল ছিল। এর মধ্যে ৬৪টি বইয়ের। বাকি ২৩টির মধ্যে ছিল বলাগড় ব্লকের দিগসুই-হোয়েরা, মহিপালপুর, শ্রীপুর-বলাগড়, জিরাট পঞ্চায়েত এবং বাঁশবেড়িয়া পুরসভার স্টল। ছিল বলাগড় কৃষি সমবায় সমিতি-সহ বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টল।
প্রয়াত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত মঞ্চে নাচ, গান, শ্রুটিনাটক, আবৃত্তি-সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিশেষ আকর্ষণ ছিল পুরুলিয়ার ছৌ-নাচ। এলাকার বিভিন্ন প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়। বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় যোগদান করে ৭২০ জন ছেলেমেয়ে। ‘মক পার্লামেন্ট’ও হয় স্কুলের ছেলেমেয়েদের নিয়ে। বই বিকিকিনির পাশাপাশি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয় বাংলা হরফ শিল্পের পুরোধা পঞ্চানন কর্মকারকে। জিরাটেরই চারাবাগানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পঞ্চাননবাবু। বইমেলা কমিটির তরফে তাঁর তৈরি হরফের প্রদর্শনী হয়। তাঁর জীবন নিয়ে আলোকপাত করা হয়। ছিল আলোচনাচক্রও। এ ছাড়াও ‘দেশচিন্তায় স্বামীজি থেকে নেতাজি’, অভিনেতা কমল মিত্র, হুগলির আঞ্চলিক ইতিহাস এবং ‘ছয় দশক পেরিয়ে ভারতীয় গণতন্ত্র’ শীর্ষক বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্টজনেরা।
বইমেলা কমিটির সম্পাদক তপন দাস জানালেন, ১১ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের বই বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর মেলা আরও দু’দিন বাড়ানো হবে। |